পটুয়াখালীর দুমকিতে শ্রেণিকক্ষের বৈদ্যুতিক পাখাসহ গোটা বিমের পলেস্তারা খসে পরে মোহম্মদ দলিল উদ্দিন নামের একজন প্রাইমারি স্কুল শিক্ষক আহত হয়েছেন। তবে ভাগ্যক্রমে শিক্ষার্থী সবাই অক্ষত রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ৫৩ নং পশ্চিম জলিসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরুর প্রাক্কালে এ আকস্মিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। আহত শিক্ষককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৫৩নং পশ্চিম জলিসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন স্কুল ভবনের প্রথম শ্রেণিকক্ষের বিমের পলেস্তারা খসে ও সিলিংফ্যান ছিড়ে পরায় শ্রেণি শিক্ষক দলিল উদ্দিন আহত হন। আহত শিক্ষককে দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তিনি হাতে ও কোমরে চোট পেয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক হোসনে আরা বেগম।
তিনি (প্রধান শিক্ষক) জানান, ঈদ ছুটি পরবর্তী আজ ছিল খোলা তারিখ। ঘটনার সময় আকস্মিক প্রথম শ্রেণির কক্ষের গোটা ভিম জড়ে পলেস্তারা খসে পড়ে। এ সময় বৈদ্যুতিক পাখাও ছিড়ে পড়ে যায়। তবে এ সময় বিদ্যুৎ ছিল না। কক্ষে উপস্থিত শিক্ষক মোহাম্মদ জলিল উদ্দিন পলেস্তরের আঘাতে হাতে ও কোমরে আঘাত পেয়েছেন। শিশু শিক্ষার্থীরা সবাই অক্ষত থাকলেও তাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে ।
প্রধান শিক্ষক আরো জানান, শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই পাঠদান করতে হচ্ছিল। আজকের দুর্ঘটনার বিষয়টি পটয়াখালী জেলা প্রাথমিক শিক্ষক অফিসার, দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে অবহিত করা হয়েছে। খবর পেয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক অফিসার ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন।
এ ব্যাপারে দুমকি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক অফিসার কাজী মনিরুজ্জামান রিপন জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। বর্তমানে বিদ্যালয় ভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী প্রতিয়মান হয়েছে, এ ব্যাপারে জেলা অফিসে প্রতিবেদন দেয়া হবে এবং শীঘ্রই ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হবে।