মায়ের জন্ম ১৯৫৭ সালে আর মেয়ের জন্ম ১৯২৫ সালে। অর্থাৎ মায়ের জন্মের ৩২ বছর আগে সন্তানের জন্ম। বিষয়টি বাস্তবে অসম্ভব হলেও জাতীয় পরিচয়পত্রে দুই জনের বয়স এমনই রয়েছে। বিষয়টি স্বীকারও করেছেন মেয়ে ফেরদৌস। এমন ঘটনা ঘটেছে বোরহানউদ্দিন উপজেলার সাচড়া ইউনিয়নের (৮ নম্বর ওয়ার্ড) দেউলা শিবপুর গ্রামে।
জাতীয় পরিচয় পত্রে দেখা গেছে, মা সালেহা খাতুন স্বামী আ. জলিল সিকদার, জন্ম ২ মার্চ ১৯৫৭। মেয়ে মোসা. ফেরদৌস, স্বামী মিজান, জন্ম ১৯২৫। সেই হিসাবে মায়ের থেকে ৩২ বছরের বড় মেয়ে। মায়ের নাম সালেহা খাতুনের স্থলে হয়েছে ছালেমা খাতুন।
তবে জন্মনিবন্ধন সনদ ও মেয়ের ভাই ইমরান জানান, মা সালেহা খাতুনের জন্ম ১৯৪৮ সালের ২ মার্চ আর মেয়ে ফেরদৌসের জন্ম ১৯৯০ সালের ২ মার্চ। কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্রে দেওয়া হয়েছে ১৯২৫ সাল। এতে মায়ের থেকে ৩২ বছরের বড় হয়ে যান মেয়ে ফেরদৌস। জাতীয় পরিচয় পত্রে এমন ভুলের কারণে বিড়ম্বনায় পড়ছে পরিবারটি।
ফেরদৌস জানান, ২০০৮ সালে এনআইডি কার্ডের ছবি তোলার সময় প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র সরবরাহ করি। পরবর্তী সময়ে যখন এনআইডি কার্ড হাতে পাই তখন দেখি আমার মায়ের থেকে আমার বয়স ৩২ বছর বেশি। এটা সমাধানের জন্য অনেকের কাছে গিয়েছি। তাতে কোনো সমাধান হয়নি। কয়েক মাস আগে সংশোধনের জন্য অনলাইনে আবেদন করেছি।
এখনো ঠিক হয়নি। এই ভুলের কারণে তাকে বিভিন্ন সময় নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ঐ ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার জাকির হোসেন জানান, অনেকের ভোটার আইডিতে অনেক ধরনের ভুল রয়েছে। সমস্যা নিয়ে কেউ আসলে সমাধানে সর্বাত্মক সহযোগিতা করি। ভোটার হালনাগাদের সময় যারা তথ্য সংগ্রহ করেছে তখন ভুলবশত এমন হতে পারে।
ইউপি চেয়ারম্যান মহিবুল্যাহ মৃধা বলেন, অসাবধানতাবশত এমন ভুল। ভুক্তভোগীর বিষয়টি সমাধানে সহযোগিতা করব। বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাচন অফিসার মনজুর হোসেন খান জানান, ভুল ডাটা এন্টির জন্য এমন হতে পারে। আবেদন করা থাকলে প্রক্রিয়া শেষে সংশোধন হয়ে যাবে।