পটুয়াখালীতে তরমুজ কিনতে গিয়ে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারিয়েছেন চুয়াডাঙ্গার তিন তরমুজ ব্যবসায়ী। শুক্রবার (১৪ মার্চ) ইফতারে শরবত পান করার পর তারা অচেতন হয়ে পড়েন। পরে জ্ঞান ফিরলে দেখতে পান, সঙ্গে থাকা টাকা ও ব্যাগপত্র খোয়া গেছে।
শনিবার (১৫ মার্চ) বিকেলে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাদের একজনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা হলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের শ্রীকোল বেয়ালিয়া গ্রামের মাঝেরপাড়ার এরেং আলীর ছেলে সজিব আলী (৩০), ডিঙ্গেদহ বাজারপাড়ার মোমিনুর রহমান মোল্লা (৬৫) ও একই এলাকার মিলন মেকানিক (৪০)।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রয়েল এক্সপ্রেসের একটি পরিবহনে ডিঙ্গেদহ বাজার থেকে পটুয়াখালীর শাখারিয়া বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা করেন ব্যবসায়ীরা। সেখান থেকে মশুরি ঘাটে তরমুজ কিনতে যান। ডিঙ্গেদহ বাজার থেকে পরিচয় হওয়া এক কথিত তরমুজ ব্যবসায়ীর সঙ্গে তারা পটুয়াখালীর একটি আবাসিক হোটেলে বিশ্রাম নিয়ে ইফতারের করার জন্য ওঠেন।
ভুক্তভোগী সজিব আলী জানান, তারা গলাচিপা বাজারের একটি আবাসিক হোটেলে বিশ্রামের জন্য যান। কিছুদিন আগে পরিচয় হওয়া কথিত তরমুজ ব্যবসায়ী তখন পর্যন্ত তাদের সঙ্গে ছিলেন। তারপর কৌশলে ইফতারসহ শরবতের ব্যবস্থা করেন। ইফতারের সময় শরবত পান করার কিছু সময়ের মধ্যে তারা তিনজন অচেতন হয়ে পড়েন।
রাত ১১টার দিকে সজিব আলীর প্রথম চেতনা ফেরে। এসময় তিনি দেখেন তার সঙ্গে থাকা অপর দুজন অচেতন হয়ে পড়ে আছেন। তাদের সঙ্গে থাকা তিন লাখ ৮০ হাজার টাকাসহ সঙ্গে থাকা ব্যগপত্র কিছুই নেই। শুধু তাদের মোবাইল খুঁজে পান। কিছুসময়ের মধ্যে তিনি আবারও চেতনা হারিয়ে ফেলেন।
পরে ডিঙ্গেদহের অপর একজন ব্যবসায়ী তাদের খোঁজ পেয়ে চুয়াডাঙ্গার বাসে তুলে দেন ও পরিবারের সদস্যদের জানান। শনিবার বিকেল ৪টার দিকে তারা ডিঙ্গেদহ বাজারে পৌঁছালে পরিবারের সদস্যরা মোমিনুর রহমান মোল্লা ও মিলন মেকানিককে বাড়িতে নিয়ে যান। তবে গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় সজিব আলীকে তার পরিবারের সদস্যরা চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সজিব হোসেন বলেন, রোগী অচেতন অবস্থায় জরুরি বিভাগে এলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পর্যবেক্ষণের জন্য ভর্তি রাখা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে চেতনানাশক জাতীয় কোনো মেডিসিন তাদের খাবারের সঙ্গে খাওয়ানো হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে এ ধরনের রোগীদের সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হতে ২৪ ঘণ্টা থেকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।