বরিশাল নগরীর রূপাতলীর জমজম নার্সিং ইন্সটিটিউটের চার ছাত্রী হোস্টেলে ভূত আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অচেতন অবস্থায় শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাদের শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তারা হলেন নগরীর রূপাতলীর জমজম নার্সিং ইন্সটিটিউটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সেতু দাস ও জামিলা আক্তার এবং প্রথম বর্ষের বৈশাখী আক্তার ও তামান্না আক্তার।
ওই ইন্সটিটিউটের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, নার্সিং ও ম্যাটস্ অনুষদের ছাত্রীদের হোস্টেলে থাকা বাধ্যতামূলক। ইন্সটিটিউটের পঞ্চম তলায় ম্যাটস্ এবং ষষ্ঠ তলায় ছাত্রী থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে আবাসিক ছাত্রীদের কেউ কেউ রাতের বেলা ছাদে হাঁটাহাঁটির শব্দ শুনতে পান! আবার কখনও কক্ষের মধ্যে অস্বাভাবিক ছায়া দেখতে পান। বিষয়টি ওই হোস্টেলে বসবসকারী সকল ছাত্রীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনাকে তারা ভূতের উপস্থিতি বলে বিশ্বাস করেন! শুক্রবার রাতেও হোস্টেলের ছাদে ভূতের উপস্থিতি অনুভব এবং কক্ষে অজ্ঞাত ছায়া দেখতে পান তারা! এতে পুরো ছাত্রী হোস্টেলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তখন জামিলাসহ চার ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
পরে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করে হোস্টেলের বাবুর্চি মালেকা বেগম।
ইন্সটিটিউটের প্রভাষক জালিস মাহমুদ জানান, আবাসিক ছাত্রীদের ভীতি দূর করতে কাউন্সিলিংয়ে ব্যবস্থা করা হয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত ছাদে নজরদারি করা হয়। হুজুর এনে মিলাদ-দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। এরপরও তাদের ভয় কাটেনি।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছাত্রীদের যথাযথ চিকিৎসা প্রদান ও কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান ইন্সটিটিউটের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুন্সি এনাম।
হোস্টেলে চার ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক রিয়াজুল ইসলাম জানান, কেন এমন ঘটনা ঘটল, তা তদন্ত চলছে।
এ ঘটনার পর রাতে ওই হোস্টেলে থাকা ৬০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪৫জন তাদের নিজ নিজ এবং আত্মীয়-স্বজনের বাসায় চলে যায়।