English

16 C
Dhaka
শনিবার, জানুয়ারি ১৮, ২০২৫
- Advertisement -

শিবগঞ্জে ২০ দিনে ৪ তরুনের আত্মহত্যা! নেপথ্য কারণ মানসিক চাপ

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় গত ২০ দিনে ৪ জন একই কায়দায় আত্মহত্যা করেছে। গত ২১মার্চ উপজেলার মাঝিহট্র ইউপির দামগাড়া কারিগর পাড়া গ্রামের আব্দুল জলিল এর পুত্র সবুজের মৃত্যুর সূচনা দিয়ে ৯এপ্রিল শনিবার শিবগঞ্জ পৌর এলাকার বানাইল গ্রামের নীরবের মৃত্যুর রেশ দিয়ে ৪ জনে ঠেকেছে।

এদের মধ্যে ২ জন যুবক ও ২ জন স্কুল পড়ুয়া ছাত্র। নিরাপদ নিউজ ডটকমের অনুসন্ধানী এক প্রতিবেদনে জানা যায়, শনিবার ৯এপ্রিল বগুড়ার শিবগঞ্জে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে নীরব হাসান (১৬) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থী দুপুর ১টার দিকে তাদের বসতবাড়ীর ২য় তলায় তার শয়ন কক্ষে ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না জড়িয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

নীরব শিবগঞ্জ পৌর এলাকার বানাইল গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তার পুত্র। সে শিবগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।

নীরব হত্যার বরাত দিয়ে শিবগঞ্জ থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) রুম্মান হাসান বলেন, প্রাথমিকভাবে নীরবের মৃত্যু রহস্যজনক মনে হচ্ছে। তার মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি।

এদিকে গত (৬এপ্রিল) বুধবার বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ঐতিহাসিক মহাস্থানগড় বানারশি গ্রামে রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে আহসান হাবীব হিরু (১৬) নামের এক স্কুলছাত্র আত্মহত্যা করে। নিহত হিরু গড়মহাস্থান বানারশি গ্রামের আব্দুল হান্নানের পুত্র। সে গোকুল তছলিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, হিরু বুধবার সন্ধ্যায় নিজ কক্ষের দরজা বন্ধ করে গলায় চাদর পেঁচিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

পরিবারের সদস্যরা পরে ইফতারির জন্য ডাকাডাকি করলে তার কোন সাড়া শব্দ পায় না। একপর্যায়ে কক্ষের বিপরীত একটি দরজা খুলে দেখতে পায় তার ঝুলন্ত মরদেহ। তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের সংবাদ পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক কুমার দাস (পিপিএম)। তিনি নিহতের বরাত দিয়ে জানান, ‘মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (শজিমেক) মর্গে রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি।’

গত ২৭ মার্চ বগুড়ার শিবগঞ্জে নেশার টাকা না পেয়ে শয়ন কক্ষে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যাকারী রায়হান(২৫) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। শিবগঞ্জ পৌর এলাকার বানাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আত্মহত্যাকারী যুবক রায়হানের পিতার নাম আফতাব হোসেন।

আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেন, শিবগঞ্জ থানার এসআই নাছির উদ্দীন। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রায়হান ২বছর যাবৎ নেশায় আসক্ত ছিল। সে মাদকাসাক্ত হওয়ায় তার স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যদের সাথে মাঝে মধ্যেই নেশার টাকা নিয়ে ঝগড়া বিবাদ হতো। সে গত ১ মাস যাবৎ স্ত্রী মুন্নিসহ তার শশুর বাড়ি রায়নগর ইউনিয়নের দক্ষিণকৃষ্ণপুর গ্রামে বসবাস করতেন। রায়হান নেশা করতে না পেয়ে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পরে।

রায়হানের মা জাহানারা বেগম বলেন, আত্মহত্যার ২ দিন পূর্বে সে আমার কাছে আগের মতই নেশার টাকা চাইতে থাকে। তাকে শান্তনা দিয়ে অনেক কথা বললেও সে পাগলামো করতো।

২৭ মার্চ রবিবার সকাল ৭টার দিকে তাকে শয়নঘর থেকে ডাকতে গেলে সে সাড়া দেয়। পববর্তিতে তাকে দুপুর ১টার দিকে খাবারের জন্য ডাকতে গেলে তার কোন সাড়া শব্দ না পেলে প্রতিবেশীদের সহযোগীতায় শয়ন কক্ষের দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে দেখা যায় রায়হান সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ নেই বলেও জানান রায়হানের মা জাহানারা বেগম।

এবিষয়ে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক কুমার দাস বলেন, আত্মহত্যার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মরদেহের সুরতাহাল প্রতিবেদন তৈরী করে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শজিমেকে এর কার্যক্রম শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এদিকে গত ২১মার্চ একই উপজেলার মাঝিহট্ট ইউনিয়নের মাসিমপুর চালুঞ্জা ও সৈয়দ দামগাড়া গ্রামে নবদম্পতির আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। আত্মহত্যাকারিরা হলেন চালুঞ্জা তালুকদার পাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক এর মেয়ে মার্জিয়া জান্নাত (১৮) ও দামগাড়া কারিগর পাড়া গ্রামের আব্দুল জলিল এর পুত্র সবুজ(২০)।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ২১ মার্চ মাঝিহট্ট ইউনিয়নের চালুঞ্জা তালুকদার পাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক এর মেয়ে মার্জিয়া জান্নাত (১৮) ও দামগাড়া কারিগর পাড়া গ্রামের আব্দুল জলিল এর পুত্র সবুজ(২০) প্রেম করে বিয়ে হয়। বিষয়টি মেয়ের পরিবার জানতে পেরে ছেলের আর্থিক অবস্থা ভাল না হওয়ায় মেয়ের পরিবার সেটা মেনে না নিয়ে মেয়েকে তার বাবার বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে প্রেমিকা মার্জিয়া তার নিজ বাড়ীতে বিষপানে আত্মহত্যা করে।

এ সংবাদ পেয়ে প্রেমিক সবুজ তার নিজ কক্ষের তীরের সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠায়।

উঠতি বয়সে শিবগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ২০ দিনে ৪ জন একই ভাবে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন, এবিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বাংলাদেশ শাখার সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন ইসলাম তুহিনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, অন্যান্য রাষ্ট্রে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি। যেমন শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, নেপাল। সেগুলোর কারণ

ঋণ গ্রস্ত ও দারিদ্রতা। আর আমাদের দেশে বর্তমান সময়ে তরুন কিশোর কিশোরীদের আত্মহত্যার কারণ আমোদিতর অভাব ও অতিরিক্ত জেদ। এছাড়া সামাজিক ভাবে হেয় করা, অবজ্ঞা ও অবহেলা করা। সেই সাথে নেই খেলার মাঠ। নেই সাংস্কৃতিক চর্চা।

তার মতে, নির্যাতিত কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্য দুর্বল থাকে আর তাদের আত্ম নিপীড়নের হারও থাকে বেশী। পাশাপাশি পারিবারিক ভাবে অসহনীয় মানসিক নির্যাতন আত্মাহত্যার দিকে ধেয়ে নিয়ে যায়।

মহাস্থানে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে কলেজ ছাত্র যুবকের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার রায়নগর ইউপির মহাস্থান দক্ষিণপাড়া গ্রামের শ্রী স্বপন কুমার দাস (অরফে) চেংটুর মাতা- শ্রীমতি সান্ত্বনা রানীর পুত্র পূর্বের নাম শ্রী অন্তর কুমার দাস (২২)। সে জেলা বগুড়ার নোটারী পাবলিক কার্যালয়ের মাধ্যমে এফিডেভিট করে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্মান্তরিত হয়ে নাম রেখেছেন, মোঃ উমর আব্দুল্লাহ। এ ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে, নও মুসলিম উমর আব্দুল্লাহ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রায়নগর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মহাস্থান দক্ষিণপাড়া গ্রামে ৩টি হিন্দু সম্প্রদায় পরিবার রয়েছে। পরিবার ৩টি পৃথক পৃথক ভাবে বসবাস করলেও এলাকার মুসলমানদের সাথে তাদের সু সম্পর্ক রয়েছে। ধর্ম নিয়ে কোনদিন তাদের সাথে বিভেদ সৃষ্টি হয়নি। আর এই গ্রামেই জন্ম হয় শ্রী স্বপন কুমার দাস (অরফে) চেংটুর পুত্র শ্রী অন্তর দাসের। সে বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের একজন মেধাবী ছাত্র।

বর্তমান সে একই গ্রামে পিতা- মাথার কাছ থেকে আলাদা হয়ে একটি একটি বাসা ভাড়া নিয়ে আছেন। সে মহাস্থান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মহাস্থান হাইস্কুল থেকে শিক্ষা জীবন শুরু করেন। এলাকাবাসী আরও জানান, নওমুসলিম উমর আব্দুল্লাহ মহাস্থানের একজন মেধাবী ছাত্র। মহাস্থান হাইস্কুলে ৮ম শ্রেনী অধ্যায়নরত সে অনেক এ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। যেমন তর্কবিতর্ক প্রতিযোগীতায় উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ট হয়েছেন। সে সময় তাকে সেরা নির্বাচিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ৫,হাজার টাকা পুরষ্কৃত করেছেন। উমর আব্দুল্লাহ’র সাথে কথা বললে তিনি নিরাপদ নিউজ প্রতিনিধিকে জানান, হাইস্কুল জীবনে শিক্ষা প্রতিযোগীতায় ক্লাসের শীর্ষে ছিলাম। এজন্য অনেক এ্যাওয়ার্ড পেয়েছি।

বরাবরের মতোই লেখাপড়া কি চালিয়ে যাবেন? আর যদি চালিয়ে যান তাহলে লেখাপড়ার খরচ কিভাবে যোগাবেন? উমর আব্দুল্লাহ’র কাছে এমন প্রশ্নে তিনি জানান, লেখাপড়া নিয়ে আপাততে কোন চিন্তা নেই। কারণ মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ হয়ে গ্রামীণ ব্যাংক কর্তৃক আমাকে আজীবন শিক্ষা বৃত্তির খরচ বহন করতে নির্বাচিত করেছেন। “এছাড়াও টিউশনি করে চলতে পারব ইনশাআল্লাহ”। হঠাৎ হিন্দু ধর্ম ছেড়ে মুসলমান ধর্মে আত্মসমর্পণ করার কারণ যানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রাইমারী স্কুলে লেখাপড়া করতে যখন মুসলমানদের ইসলাম ধর্ম বই আমার পাশের সহপাঠীরা পড়তেন তখন আমার খুব খারাপ লাগতো।
ক্লাসে শুধু আমি একজন হিন্দু। আসতে আসতে তখন থেকে ইসলাম ধর্ম বই হাতে নিয়ে পড়তে থাকি। একসময় আমাদের হিন্দু ধর্মের সাথে ইসলাম ধর্মের মিল কোথাও খুঁজে পাই না।

পরে বুঝতে পারি ইসলাম ধর্মই সঠিক। আমার গ্রামের মুসলমান বন্ধুরা সবাই আমাকে ভালবাসেন। হিন্দু ধর্মের বলে কেউ অবহেলা করেনি। সবচেয়ে কষ্ট পেতাম যখনই পবিত্র জুম্মার দিন মসজিদে আযান দিলে সব বন্ধুরা এক সঙ্গে দল বেঁধে নামাজ পড়তে যায়। আমি যখন বাড়িতে মনমরা হয়ে থাকি। রমজান মাসে সবার বাড়িতে উৎসবের আমেজ বয়। ইফতারির সময় বন্ধুরা কত আনন্দ করে। এক সময় ইসলাম ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ইসলাম ধর্মের নানা ইতিহাস পড়তে থাকি। ইউটিউবে অনেক ইসলামী ওয়াজও শুনি ভাল লাগে। মহান আল্লাহ’র দিন ও ইমান আমলে বাকী জীবন ইসলামের পথে কেটে দিতে চাই।

এজন্যই আদালতে এফিডেভিটের মাধ্যমে হিন্দু ধর্ম ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম ধর্মীয় রীতি নীতি অনুযায়ী কলেমা পড়ে সম্পন্ন মুসলমান হয়েছি। উমর আব্দুল্লাহ এখন ৫ ওয়াক্ত নামাজ ও রোজা করছেন। বিষয়টি চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে প্রতিদিন তাকে দেখার জন্য শতশত উৎসুক জনতার ভিড় জমে।

মহাস্থানে ফ্লাইওভার নির্মাণে অসতর্কতা ও শ্রমিক নিরাপত্তা না থাকায় বাড়ছে দুর্ঘটনা

এলেঙ্গা থেকে রংপুর ৪লেন সড়ক উন্নীতকরণ কাজ শেষ হওয়ার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২৪ সাল। সড়কটি সচল হলে উত্তরবঙ্গে শিল্প কারখানার প্রসারসহ ভারত-নেপালের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য উন্নয়ন ঘটবে। রংপুর মহাসড়ক থেকে বুড়িমারি ও বাংলাবান্ধা হয়ে ভারত-নেপালের সঙ্গে বাণিজ্য প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এ মহাসড়কটি।

সাসেক এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে। ৫বছর পার হলেও প্রকল্পের আর্থিক ও ভৌত অগ্রগতি সন্তোষজনক না হওয়ায় কাজের গতি ছিল কম। সেই হিসেবে ২০২১ সালের আগস্টে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল।

বর্ষা মৌসুম, কোভিড-১৯ ও জমি অধিগ্রহণ বিলম্বিতর কারণে কাজের অগ্রগতি কম হওয়ায় কাজের সময় বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রকল্পটি টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, গাইবান্ধা ও রংপুর জেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।

এদিকে প্রকল্পের সাউথ এশিয়া সাবরিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক-২) বাস্তবায়িত সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ‘এলেঙ্গা-হাটিকামরুল-রংপুর মহাসড়ক ৪লেনে উন্নীতকরণ বগুড়ার মহাস্থানগড় বাসস্ট্যান্ডে নির্মিত ফ্লাইওভার নির্মাণে অসতর্কতা ও শ্রমিক নিরাপত্তা না থাকার কারণে দিন দিন বাড়ছে দুর্ঘটনা।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ২টা ৩০ মিনিটে সৌরভ (৪০) নামের এক শ্রমিক বৈদ্যুতিক শর্টে আহত হয়। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত ৩ দিন আগেও ওই একই স্থানে ব্রিজের কাজের সময় উপর থেকে পড়ে সুমন মিয়া (১৯) নামের আরেক শ্রমিক সৌভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে যায়।

পরে তাকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়।। বর্তমান সে মাথায় ও কমড়ে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এলাকাবাসী বলছেন কাজের নিরাপত্তা না থাকায় এধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে। বিশেষ সতর্কতা ও কাজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকলে ভবিষ্যতে এর চেয়েও বড় ধরণের প্রাণহানীর ঘটনা ঘটতে পারে।

ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের বগুড়ার জনের সাথে কথা বলে জানা যায়, অধিকাংশ ক্ষেত্রে নির্মাণ শ্রমিকরা কাজ করছেন ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে। প্রায়ই দুর্ঘটনায় প্রাণহানিসহ আহত হচ্ছেন অনেকে।

২০১৪ সালের জাতীয় বিল্ডিং কোড অনুযায়ী, কাজের সময় একজন শ্রমিকের মাথায় হেলমেট পড়া বাধ্যতামূলক। যারা কংক্রিটের কাজে যুক্ত, তাদের হাতে গ্লাভসও পড়তে হবে।

চোখের জন্য ক্ষতিকর কাজ যেমন ড্রিলিং, ওয়েল্ডিং, ঢালাইয়ের সময় শ্রমিকদের চশমা ব্যবহার বাধ্যতামূলক। ওয়েল্ডার ও গ্যাস কাটার ব্যবহারের সময় রক্ষামূলক সরঞ্জাম যেমন গ্লাভস, নিরাপত্তা বুট, এপ্রন ব্যবহার করতে হবে। ফ্লাইওভারের উপরে কাজ করার সময় শ্রমিকের নিরাপত্তায় বেল্ট ব্যবহারও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। একজনের মাথায় হেলমেট থাকলেও বাকিরা এ ব্যাপারে উদাসীন।

মহাস্থান ফ্লাইওভারে কর্মরত শ্রমিকদের একটি বড় অংশ নিরাপত্তা সরঞ্জাম ছাড়াই কাজ করছেন। ফ্লাইওভারে ওঠা নামা ও কাজের সময় কয়েকজন শ্রমিককে হেলমেট ও নিরাপত্তা বেল্ট ছাড়াই কাজ করতে দেখা গেছে৷ এজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দায়ি করছেন সচেতন এলাকাবাসী।

মহাস্থানে গলায় ফাঁস দিয়ে স্কুলছাত্রের আত্মহত্যা

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ঐতিহাসিক মহাস্থানগড় বানারশি গ্রামে বুধবার (৬এপ্রিল) রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে এক স্কুলছাত্র আত্মহত্যা করেছে। গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎসালয়ে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শিবগঞ্জ থানার এসআই বিল্লাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আত্মহত্যা করা স্কুলছাত্রের নাম আহসান হাবিব হিরু (১৬)। সে গোকুল তছলিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মৃত হিরু শিবগঞ্জ থানাধীন মহাস্থান বানারশি গ্রামে মা ও দাদির সঙ্গে বসবাস করতেন। তার বাবার নাম আব্দুল হান্নান প্রোং। পিতা হান্নান ঢাকায় বসবাস করেন। তাদের মহাস্থান হযরত শাহ সুলতান বলখী রহঃ এর মাজার গেটের পাশে জিন্নাহ মিয়া নামের একটি কটকটির দোকান রয়েছে। কটকটি তৈরির জন্য বাড়িতে একটি কারখানা আছে। নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বুধবার ইফতারির পূর্ব মুহূর্তে নিহত হিরুর মা তাকে ইফতারি আনতে বলেন। কিন্তু হিরু ইফতারি না এনে তার কক্ষে প্রবেশ করে। পরে সে নিজ কক্ষের দরজা বন্ধ করে গলায় চাদর পেঁচিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

পরিবারের সদস্যরা পরে ইফতারির জন্য ডাকাডাকি করলে তার কোন সাড়া শব্দ পায় না। একপর্যায়ে কক্ষের বিপরীত একটি দরজা খুলে দেখতে পায় তার ঝুলন্ত মরদেহ। তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের সংবাদ পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক কুমার দাস (পিপিএম)। তিনি নিহতের বরাত দিয়ে জানান, ‘মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (শজিমেক) মর্গে রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি।’

বগুড়ায় বিপুল পরিমাণ ফেন্সিডিলসহ ২ পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী আটক

বগুড়ায় এ্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ১২ কর্তৃক ৪৭৬ বোতল ফেনসিডিলসহ ২ পেশাদার মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে।

জানা যায়, র‌্যাব-১২ বগুড়া কর্তৃক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার দিবাগত রাত ১১ টা ৫০ মিনিটে বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার সীমাবাড়ী বাসস্ট্যান্ড মসজিদ মার্কেট সংলগ্ন পশ্চিম পার্শ্বে বগুড়া- ঢাকা মহাসড়কের উপর এক মাদক বিরোধী অভিযান চালানো হয়।

এসময় প্রাপ্ত নিশ্চিত গোপন সংবাদের মাদকের চালানের ট্রাক আটক করা হয়। পরে ট্রাকটি জব্দ করে তল্লাশী করলে ভিতরে ৪৭৬ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়। এসময় মাদক চোরাচালান সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে সাতক্ষীরা কলারোয়া উপজেলার দক্ষিন ভাদিয়ালী গ্রামের মৃত- নজরুল ইসলামের পুত্র কারিমুল ইসলাম (৩৮) ও ময়মনসিংহ ফুলপুর উপজেলার বাড়ীপাকু গ্রামের মৃত জহুরুল ইসলামের পুত্র রাসেল মিয়া (২২) কে আটক করে র‌্যাব।

এছাড়া তাহাদের হেফাজত থেকে মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের কাজে ব্যবহৃত ২টি মোবাইল ফোন, নগদ- ৩,৪৩৯ টাকা এবং মাদক কাজে সরবরাহ করা ১টি ট্রাক (যাহার রেজিঃ নং ঢাকা মেট্রো-ট-১৮-৭৪৬৪) জব্দ করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদক মামলা রুজুসহ উদ্ধারকৃত আলামত জব্দ করে বগুড়া জেলার শেরপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

অটোভ্যানের জন্য স্কুল ছাত্রকে নৃশংস ভাবে হত্যা

বগুড়ার গাবতলী উপজেলার ছয়ঘড়িয়া গ্রামের লিটন মিয়ার পুত্র ফাহারুল ইসলাম বিজয় (১৮)। সে উপজেলার সোনারায় স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র। সংসারে অভাব অনাটন মুচতে লেখাপড়ার পাশাপাশি সংগ্রামী জীবন হিসেবে বেছে নেয় অটোভ্যান চালানোর পেশা। পরিবারে স্বপ্ন দেখাতো বিজয়। লেখাপড়া করে একদিন বড় হয়ে কষ্টের ঘানির অবসান ঘটাবে। সামনে রমজান মাস সংসারে ভালমন্দ খাবার আনতে হবে। এই ভেবে পরিবারের প্রধান উপার্জনক্ষম বিজয় ৩০ মার্চ বুধবার সকাল ৭টার দিকে বাড়ি থেকে অটোভ্যান নিয়ে বেরিয়ে পড়ে রোজগারের সন্ধানে।

সারাদিন কেটে গেলেও বিজয় আর বাড়ি ফেরেনি। তার পরিবারের সদস্যরা সম্ভাব্য স্থানে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোন সন্ধান পায় না। পরে রাতেই বিষয়টি গাবতলী থানায় জানানো হয়।

বাড়ি থেকে বিভিন্ন জায়গায় ফোন করেও বিজয়ের খোঁজ মেলেনি। তার পরিবারে দুঃচিন্তায় রাত কাটে। অবশেষে সংবাদ আসে বিজয়ের। তবে এই সংবাদ খুশির নয়। বরাবরই দুঃসংবাদ। গতকাল বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে কাহালু উপজেলার নারহট্ট ইউনিয়নের ভ্যাপড়া এলাকার ফসলি জমির পাশের একটি খাল থেকে তার মরদেহ পাওয়া যায়৷ ঘাতকেরা তাকে হত্যা করে লাশ খালে ফেলে অটোভ্যান নিয়ে চলে যায়।

বেলা ১২টার দিকে কাহালু থানা পুলিশ বিজয়ের মরদেহ উদ্ধার করে। পরিবারের উপার্জনক্ষম একজন মেধাবী ছাত্র বিজয় পড়াশোনার পাশাপাশি অটোভ্যান চালিয়ে পরিবারকে সহযোগিতা করতেন।

কাহালু থানার ওসি আমবার হোসেন জানান, নিহতের পাঁজরে ও কোমরের নিচে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। ঘাতকদের শনাক্ত ও আটক এবং অটোভ্যান উদ্ধার করতে চেষ্টা চলছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অটোভ্যান ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই তাকে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে। এভাবেই একটি স্বপ্নের মৃত্যু হলো। মাঝে মাঝেই এমন অটোভ্যান ছিনতাই সেই সাথে খুনের ঘটনা ঘটেই চলছে। অটোরিকশা বা ভ্যান চালকেরা সবাই দরিদ্র। সামান্য এই পুঁজির ওপর হামলা নিছক ঘাতকদের আটক করে কঠোর শাস্তির দাবি বিজয়ের পরিবারের।

মোকামতলায় সরকারি জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণ, উচ্ছেদ করলেন ইউএনও

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলায় হাট-বাজারের সরকারি জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপন নির্মাণ। এ নিয়ে বেশ কয়েক মাস হলো আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বইছে৷

মোকামতলা হাটের অনিয়মের সংবাদ সংগ্রহ করতে সেখানে সাংবাদিক লাঞ্ছিতের ঘটনাও ঘটে। বিষয়টি শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উন্মে কুলসুম সম্পার নজরে এলে তিনি বুধবার বিকালে মোকামতলা হাটের সরেজমিনে গিয়ে ওই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে সরকারি জায়গা দখল মুক্ত করার প্রক্রিয়া চালান৷

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার মোকামতলা হাট বসে সপ্তাহে দুদিন। কিন্তু দোকানগুলো স্থায়ী হওয়ায় প্রতিদিনই হাটের মতোই সেখানে কেনাবেচা হয়। সব ধরনের দোকানপাট রয়েছে এই হাটে। সম্প্রতি হাটের দুটি শেড ভেঙে অবকাঠামো পরিবর্তন ও পাঁকা দোকান নির্মাণ করে ব্যবসায়ীদের এককালীন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

সরকারি জায়গায় ঘর নির্মাণ করে বরাদ্দ অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ইজারাদার আপেলের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও উন্মে কুলসুম সম্পা জানান, শিবগঞ্জ উপজেলায় সরকারি জায়গা দখল ও অবৈধ ভাবে স্থাপন নির্মাণ করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ সহ অবৈধ স্থাপন উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বগুড়ার শিবগঞ্জে বিয়ে মেনে না নেয়ায় নববধূর বিষপান, গলায় ফাঁস নিলেন স্বামী

বগুড়ার শিবগঞ্জে বিয়ের দিন নবদম্পতির আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে উপজেলার মাঝিহট্ট ইউনিয়নের দামগারা কারিগর পাড়া ও মাসিমপুর চালুঞ্জা তালুকদার পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

নবদম্পতি হলেন- উপজেলার মাঝিহট্ট ইউনিয়নের দামগারা কারিগর পাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে দিনমজুর সবুজ মিয়া (২১) ও তার নববিবাহিত স্ত্রী একই ইউনিয়নের মাসিমপুর চালুঞ্জা তালুকদারপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে মার্জিয়া জান্নাত (১৯)। রাতেই পুলিশ তাদের লাশ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়েছে।

এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে থানা পুলিশ জানায়, দরিদ্র পরিবারের ছেলে সবুজ দিনমজুরের কাজ করেন। অপরদিকে নামুজা ডিগ্রি কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থী মার্জিয়ার বাবা অবস্থাসম্পন্ন। তাদের বাড়ি পাশাপাশি গ্রামে।

পুলিশ জানায়, প্রায় এক বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি জানাজানি হলে সোমবার (২১ মার্চ) বিকেলে দুজনে কাজী অফিসে গিয়ে গোপনে বিয়ে করেন। বিয়ের পর নতুন স্ত্রীকে নিয়ে নিজের বাড়িতে আসেন সবুজ। কিন্তু আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় মেয়ের পরিবার এ সম্পর্ক মেনে নেননি। এই কারণে সোমবার সন্ধ্যায় মেয়েকে জোর করে বাড়িতে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। রাত ১০টার দিকে এই নবদম্পতি মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন। এর একপর্যায়ে স্বামীকে মোবাইল কলের লাইনে রেখে বিষপান করেন  মার্জিয়া। ফোনের অপরপ্রান্তে থেকে বিষয়টি বুঝতে পেরে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস নেন সবুজ। রাত ১২টার দিকে উভয় পরিবারের লোকজন বিষয়টি থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক কুমার দাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দিলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংসারে স্বচ্ছলতা ফেরাতে জমিতে ফসল ফেলে জীবন সংগ্রামে সাহেরা

সাহেরা বেগম, স্বামী ৩২ বছর আগে মারা গেছে। ১ ছেলে ও ১ মেয়ে নিয়ে তার সংসার। সম্পদ বলতে ৫ শতক আবাদি জমি ও একটি বসতভিটা বাড়ি। শনিবার দুপুরে বগুড়া সদরের নুনগোলা ইউপির হাজরাদিঘী দক্ষিণপাড়া একটি ফসলের মাঠে কাটফাটা রোদে পুড়ে ঘেমে একাকার হয়ে জমিতে সার প্রয়োগ করতে দেখা যায় বেঁচে থাকার লড়াইয়ে সংগ্রামী সাহেরা নামের এক বৃদ্ধা নারীকে। সাহেরার স্বামীর নাম আবুল হোসেন সরদার।

তিনি ৩২ বছর আগে মারা যান। সাহেরা স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে ২ সন্তান নিয়ে অতি কষ্টে বেঁচে থাকার জীবন যুদ্ধে সংগ্রাম করছেন। মেয়েকে অনেক কষ্টে বিয়ে দিলেও আরেক কষ্ট বাসা বাঁধে সাহেরার ঘাড়ে। যে ছেলে সংসাদের হাল ধরবে সেও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। টুকটাক দর্জির কাজ করলেও টাকা রোজগার করতে, সে বুদ্ধিক্ষম তার নেই। সে নিজেও মায়ের আয় রোজগারের ওপর নির্ভরশীল।

ঘোরাধাপ কোল্ড স্টোরের পশ্চিম পার্শে মাঠে কাজ করা সাহেরা বেগমের সাথে কথা বললে সে জনান, মাস খানেক আগে স্বামীর রেখে যাওয়া ৫শতক জমিতে ধানের চারা রোপন করেছি। ভাল মানের ফসল করতে জমিতে সার দিচ্ছি। নারী হয়ে মাঠে কাজ করলে কেউ কিছু বলে না?

এমন প্রশ্নের জবাবে সাহেরা বলেন, নিজের সামান্য জমিতে নিজেই কাজ করছি তা অনেকেই অবাক চোখে দেখে। বাবারে সংসারে খাবার না থাকলে তো কেউ খাওয়ায় না। তবে কাম করতে লজ্জা কিসের। চুরি তো আর করি না।

এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, এলাকার মধ্যে সব থেকে পরিশ্রমী নারী বৃদ্ধা সাহেরা বেগম। ফসল বোনা থেকে শুরু করে মাঠের যাবতীয় কাজ তিনি করতে পারেন।

কখনো অলস সময় পার করেন না। রান্না ঘর থেকে ফসলের মাঠ, সবখানেই কাজ করেন তিনি। এভাবে কৃষি কাজ করে সংসারের স্বচ্ছলতা ফিরেয়ে এনেছেন সাহেরা। সাহেরার সংগ্রামী জীবনে কিছুটা রেশ দিতে সরকারি অনুদানের সহযোগী কামনা করেন স্থানীয় এলাকাবাসী।

বগুড়ায় ডিবি পুলিশের অভিযান: অস্ত্রসহ একাধিক মামলার আসামী আটক

বগুড়া শহরতলীর আটাপাড়া শাহী মসজিদ নামক এলাকা থেকে অস্ত্রসহ মিথুন ওরফে লিটন বিহারী (৩৫) নামের একাধিক মামলার আসামী কে আটক করেছে বগুড়া জেলা গোয়েন্দা ডিবি পুলিশ।

সোমবার ৭মার্চ বিকাল পৌনে ৫টার দিকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত মিথন অরফে লিটন বিহারী সে শহরের লতিফপুর কলোনী (বটতলা), এ/পি চক নাটাইপাড়া গ্রামের মৃত নেহাল খান ওরফে নেহাল বিহারীর পুত্র।

বগুড়া জেলা গোয়েন্দার ইনচার্জ সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী (বিপিএম) বার এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) জনাব আলী হায়দার চৌধুরী বিপিএম এর তত্ত্বাবধানে নিখুঁত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে

খবর পেয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি আভাযানিক দল সোমবার বিকাল পৌনে ৫টার দিকে উপশহর টু ওয়াবদাগামী পাকা রাস্তার দক্ষিনে তাকে আটক করে দেহতল্লাশী করলে তার হেফাজত থেকে বিদেশী পিস্তল ১টি ম্যাগজিন ও ১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

অভিযানকালে তারা জানতে পারে তার বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতি, অপহরন, মাদক ও একাধিক চাঁদাবাজি মামলা রয়েছে।