মাগুরা সদর উপজেলার ইছাখাদা এলাকায় ৩৫ কেজি ওজনের একটি আলু বিক্রয় হল হাজার টাকা। ইছাকাধা গ্রামের কৃষক মীর আজাদ এই আলু বিক্রি করেছেন ১০৫০ টাকায়। তার বাড়ীর আঙিনায় চাষ করে উৎপাদিত হয়েছে এই আলুটি। স্থানীয়ভাবে এটি ‘মুন্সীআলু’ হিসেবে পরিচিত
(৪ ঠা জানুয়ারী) মঙ্গলবার বিকেলে মীর আজাদ ইছাখাদা বাজারে আলুটি বিক্রির জন্য আনলে ফরিদপুর থেকে আসা পাইকারী সবজি ব্যবসায়ী তপন বিশ্বাস ৩০ টাকা দরে এক হাজার পঞ্চাশ টাকা দিয়ে আলুটি কিনে নেন। এসময় আলুটি দেখতে ইছাখাদা বাজারে উৎসুক মানুষ ভিড় জমায়। আলুটি দেখে তারা বিস্ময় প্রকাশ করে।
মীর আজাদ জানান, আমি ২ বছর আগে পাশের গ্রাম নড়িহাটির কৃষক ওয়াজেদ আলীর কাছ থেকে মুন্সীআলুর একটি বীজ এনে বাড়ীর আঙিনায় রোপন করি। প্রথম বছরে সেই আলুটির ওজন হয় ২২ কেজি। যা পাড়া প্রতিবেশির মধ্যে বিলি করে দেই। এরপর গতবছর পুনরায় ঐ আলু থেকে ৪টি বীজ রোপন করি। যা থেকে ঘটনারদিন দুপুরে ১টি আলু তুলা হয়। যার ওজন হয়েছে ৩৫ কেজি। আলুটি বিক্রি করে তিনি খুবই খুশি হয়েছেন বলে আরো জানান।
আলু ক্রেতা তপন বিশ্বাস জানান, এ ধরনের আলু খুবই কম দেখা যায়। আমি এটা পাইকারি ৩০ টাকা কেজি দরে কিনেছি। ফরিদপুরে নিয়ে যাবো। আশা করছি ভালো দামে বিক্রি করতে পারবো।
মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. হায়াত মাহমুদ জানান, সাধারণত এ ধরনের আলু পতিত জমিতে বা বাড়ির আঙিনায় দেখা যায়। বৈশাখ মাসে এ আলুর বীজ রোপন করতে হয়। মাটির নিচে হওয়া এ আলু চাষে তেমন কোনো খরচ হয়না। একবছর বা এর অধিক সময়ের ব্যবধানে এ আলুর ওজন চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ কেজিও হয়ে থাকে।