রমজানের ইফতারিতে অনেকের পুদিনা পাতা ছাড়া যেন চলেই না, তাই রমজান এলে পুদিনার চাহিদা বেড়ে যায় কয়েক গুন। ব্যাপক চাহিদার পাশাপাশি দামও ভালো পাওয়া যায় পুদিনার।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সীতাকুণ্ডে ২০ হেক্টর জমিতে ২১০ জন কৃষক পুদিনাপাতা উৎপাদন করেছেন। এ বছর ফলন হয়েছে ১২০ মেট্রিক টন। প্রতি টন পুদিনা গড়ে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। সে হিসেবে ১২০ মেট্রিক টন পুদিনায় আয় হয় ৬০ লক্ষ টাকা। তবে অনেক সময় আরও ভালো দামে বিক্রি হয় পুদিনা। তখন একই পরিমাণ পুদিনা বিক্রি করা যায় কোটি টাকায়।
সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী, সলিমপুর, সোনাইছড়ি ও কুমিরায় ২০ হেক্টর জমিতে পুদিনার চাষ করেছেন কৃষকেরা। এরমধ্যে শুধুমাত্র ভাটিয়ারী খাদেমপাড়া এলাকাতেই পুদিনা চাষ করেন ৪০ থেকে ৫০ জন কৃষক। এ এলাকার ৬ হেক্টর পাহাড়ি ঢালু জমিতে এ বছর পুদিনার চাষ হয়েছে।
পুদিনা চাষী মো. শিবলু মিয়া বলেন, প্রতিবছর রমজানকে সামনে রেখে বাড়তি উৎপাদনের চেষ্টা করে সীতাকুণ্ডের পুদিনা চাষীরা। এ সময় চাহিদা অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেশি থাকে। এবার পাহাড়ি এলাকায় প্রায় ৯০ শতক জায়গায় পুদিনার চাষ করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, এটুকু জায়গায় পুদিনা চাষ করতে শ্রমিক ও অন্যান্য ব্যয় বাবদ তার খরচ পড়েছে প্রায় ৮০ হাজার টাকা। বাজার দর ভাল হলে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার পুদিনা বিক্রি করা যাবে।
কৃষি মো. শফি বলেন, রমজান মাসে ভালোমানের পুদিনা-পাতার বাজারজাত। আর সে কারণেই দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন পুদিনা-চাষিরা।
আরেক কৃষক মো. সেলিম বলেন, আমরা বিগত ৩৫ বছর ধরে এই চাষে জড়িত। আগে আমার বাবা করতো এখন আমি এই চাষের দেখভাল করছি। আমরা চলতি মৌসুমে প্রায় ৮০ শতক জায়গায় পুদিনা পাতার চাষ করেছি। আবহাওয়া যদি অনুকূলে থাকে তাহলে আমাদের ব্যাপক বাজারজাত করার ইচ্ছা রয়েছে।
সীতাকুণ্ড উপজেলা কৃষি অফিসার মো. হাবীবুল্লাহ বলেন, ‘উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ২০ হেক্টর পাহাড়ি জমিতে ২১০ জন কৃষক পুদিনাপাতার চাষ করেছেন। সারাবছর পুদিনার চাষ হলেও রমজানের চাহিদা মেটাতে কৃষকরা বাড়তি চাষ করে থাকেন। প্রতিবছর এই এলাকা থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় পুদিনা সরবরাহ হয়।