নিচেই ভয়ালগ্রাসী যমুনার পানি। তবুও চরের উপর চাষ করে সোনালী স্বপ্ন দেখে বগুড়ার ধুনট উপজেলার যমুনা পারের কৃষিজিবীরা। সরজমিনে দেখা যায় উপজেলার শহড়াবাড়ী যমুনার চরে নানা প্রতিকুলতা পেরিয়ে চরের অল্প পানিতে ন্থানীয় গাইঞ্জা নামের ধান রোপন করতে ব্যাস্ত সময় পার করছে কৃষক।
যমুনার পানি কমে গেলে দুর্যোগকালিন সময়ে চাষ করা হয়ে থাকে বলে অনেকেই আপদকালিন ফসলও বলে থাকে এ ধানের ফলন বিঘা প্রতি ৮-৯ মন হলেও চাষ অনুপযোগি চরে খুব একটা ফলন হয়না। যেটুকু ফসল হয় তাতে কোন রকম আপদ কালিন সময় পার হয়ে যায় কৃষকদের। নদীর ঢালু চরে ব্যাপক হারে আগাম জাতের গাইঞ্জা ধান চাষ করে আসছে বহুদিন ধরে। স্থানীয় চাষিরা এই ধান চাষ করে নিজেদের জন্য চাল এবং গরুর জন্য খড়ের যোগান দিয়ে থাকে।
আপদ কালিন বর্ষাকালে বর্ষালী নামের ধান চাষও করে স্থানীয় যমুনা পারের চাষিরা। আমন ধান কাটার পর যে ধান চাষ করে সে ধান কে গাইঞ্জা নাম দিয়েছে স্থানীয়রা। বাড়তি ফলনের আশায় চাষিরা প্রায় সারা বছরই গাইঞ্জা ধান চাষ করে থাকে। এই ধান হতে প্রায় ১শ থেকে ১শ ২০দিন দিন সময় লাগে। জৈব বা রাসায়নিক সার ছাড়াই কম খরচের মধ্য শুধু সেচ, বীজ আর চারার পরিচর্যার উপর নির্ভর করেই এ ধান চাষ করা হয়। যমুনার পানি নেমে যাওয়ায় বাড়তি লাভ ও খাদ্য চাহাদা মেটাতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্যাস্ত সময় পার করছে চাষিরা।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন