ঝিনাইদহে আমনের ভরা মৌসুমে ধানক্ষেতে ব্যাপক হারে মাজরা পোকার আক্রমন শুরু হয়েছে। নানা প্রকার কীটনাশক স্প্রে, সার প্রয়োগ করেও কোন সুফল পাচ্ছে না কৃষকেরা। মাজরা পোকার হাত থেকে রক্ষা পেতে জেলা বা উপজেলা উপজেলা কৃষি অফিসের কোন সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে অনেক এলাকার কৃষক।
জেলা কৃষি বিভাগের দেওয়া তথ্য মতে, এ বছর জেলার ৬ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মাঠে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৪ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমনের চাষ হয়েছে। ধান আবাদের কিছুদিনের মধ্যেই মাজরা পোকার আক্রমন শুরু হয়েছে। পোকার আক্রমণের কারণে অধিকাংশ ধান গাছের পাতা মরে হলুদ রং ধারণ করেছে। কোনো কোনো জমির ধানগাছ প্রায় পাতাশূন্য হয়ে মাটিতে মিশে যাচ্ছে। বার বার বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক ব্যবহার করেও কোনো সুফল পাচ্ছেন না তারা।
জেলার শৈলকুপা উপজেলার উত্তর মির্জাপুর গ্রামের কৃষক সোহেল আহম্মেদ বলেন, ধান লাগানোর পর যখন থেকে কুশি ছাড়া শুরু হয়েছে তারপর থেকেই মাজরা পোকা আক্রমন শুরু করেছে। কয়েকবার ঔষুধ দিয়েছি তারপরও কোন কাজ হচ্ছে না
পার্শবর্তী পুরাতন বাখরবা গ্রামের কৃষক মানিক মিয়া বলেন, আমি ৫০ বছর ধরে চাষ করে আসতিছি। ইবার যেভাবে মাজরা ধরেছে। এমন কোনদিন দেখিনি। অলরেডি ৩ বার ঔষুদ দিছি তারপরও কোন কাজ হচ্চে না।
একই গ্রামের কৃষক মনিরুল ইসলাম বলেন, রাইটার, ভিরতাকো, বাতিল, সেলকোলনসহ কত রকমের ঔষুধ দিলাম কোন কাম হচ্ছে না। ধান শ্যাষ করে দিলো।
উপজেলার নবগ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমন ধানের গাছে কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মাজরা পোকার আক্রমণ হয়েছে। ওষুধ বিক্রেতাদের পরামর্শে পুরাডান, ভিরতাগো কিংবা আলটিমা প্লাস দিয়েও কোনো উপকার পাচ্ছি না। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে কোন প্রকার পরামর্শ আমরা পাচ্ছি না।
ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার বলেন, মাত্র ৫৫ হেক্টর জমিতে মাজরা পোকার আক্রমন হয়েছে। বিভিন্ন উপজেলায় বিক্ষিপ্তভাবে পোকার আক্রমন হয়েছে। তবে তা নিয়ন্ত্রনের মধ্যে আছে।