ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষক। আয়-ব্যায়ের ডামাডোলে পরিবহন সংশ্লিষ্ট ও সাধারণ মানুষ। জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে বেড়ে গেছে কৃষকের খরচ। এক বিঘা জমিতে হালচাষ দিতে ৫০০ টাকা নিলেও। ভোরের সকাল ফর্সা হতেই তা বেড়ে ৭০০ থেকে ৮০০টাকায় হয়ে গেছে। অপরদিকে কৃত্রিম সংকটে সার-কীটনাশক ব্যবহারে খরচ বেড়েছে কৃষকের।
কৃষকের তথ্য মতে, চলতি আমন মৌসুমে এক বিঘা জমিতে খরচ গুনতে হবে ১৭ থেকে ১৯ হাজার টাকা। আর উৎপাদন হবে ২০ থেকে ২২ মন ধান। প্রতি মণ ধানের দর ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা বিক্রি করতে না পারলে লোকসান গুনতে হবে কৃষকদের। আর বর্গাচাষীদের ক্ষেত্রে কৃষি করা নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে। তেলের দাম বাড়ায় কোনভাবেই খরচ উঠবে না বলে জানান তারা।
অন্যদিকে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দ্রুত ভাড়া নির্ধারণ করা না হলে যানবাহন চালানো কঠিন হয়ে পড়বে। ইতোমধ্যে জেলায় ভাড়া চালিত অনেক যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখেছে পরিবহন সংশ্লিস্টরা। এছাড়া আগের চেয়ে সবকিছুর মূল্য বাড়ায় সাধারণ মানুষের সংসার চালানো কঠিন বলে মনে করছেন সবাই।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু হোসেন জানান, কৃষকের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। ধানের মূল্যও বাড়ানোর প্রয়োজন হয়ে উঠেছে বলে মনে করেন তিনি। তা না হলে কৃষক এ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে।