যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে সহযোগিতা প্রদানে আগ্রহী।
রোববার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের সাথে তার দপ্তর কক্ষে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস, বাংলাদেশ-এর এক প্রতিনিধিদল সৌজন্য সাক্ষাতকালে এ আগ্রহের কথা জানান।
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস, বাংলাদেশ-এ কর্মরত যুক্তরাষ্ট্র কৃষি বিভাগের বৈদেশিক কৃষি সেবার এগ্রিকালচারাল এটাচি মেগান এম ফ্রান্সিস, যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের বৈদেশিক কৃষি সেবার কৃষি বিশেষজ্ঞ তানভীর মাহমুদ বিন হোসাইন এবং যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের বৈদেশিক কৃষি সেবার কৃষি সহকারী মো. তানভীর আহমেদ ।
এ সময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, “আমরা ভাগ্যবান যে, আমরা শেখ হাসিনার মত দূরদর্শী নেতা পেয়েছি। বিশ্ব নেতারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করছেন। তিনি দেশের সীমিত সম্পদ দিয়ে সবকিছু ভালোভাবে ব্যবস্থাপনা করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব দেশের সাথে চমৎকার কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখায় বিশ্বাসী। বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ দেশ। আমরা জাতি হিসেবে কোন দেশের সাথে বৈরিতায় বিশ্বাসী নই”।
মন্ত্রী আরো বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। দুদেশের মধ্যে ভালো সহযোগিতার সম্পর্কও রয়েছে। এক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে একসাথে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে দুদেশের পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময় ও সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে। এ খাতে দুদেশের মধ্যে প্রযুক্তি বিনিময়েরও সুযোগ রয়েছে । বাংলাদেশ সরকার কৃষি এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে অত্যন্ত উদার। এ বিষয়ে দুই দেশ যৌথ পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারে”।
এবছর অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা এসময় তুলে ধরেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এছাড়া বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো উন্নয়নের ব্যাপারেও এ সময় আশাবাদ ব্যক্ত করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী।
এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, “পোল্ট্রি, লাইভস্টক ও মৎস্য খাতের উন্নয়নে আমাদের একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এ খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমরা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি। বিশ্ব এখন গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত হয়েছে। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মতো সম্পদশালী ও বড় দেশসমূহকে অপেক্ষাকৃত দরিদ্র ও ছোট দেশসমূহের সহযোগিতায় এগিয়ে আসা প্রয়োজন”।
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস, বাংলাদেশ-এর প্রতিনিধি দলের প্রধান ও যুক্তরাষ্ট্র কৃষি বিভাগের বৈদেশিক কৃষি সেবার এগ্রিকালচারাল এটাচি মেগান এম ফ্রান্সিস বলেন, “বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন দূরদর্শী নেতা। তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ বাংলাদেশ সরকারের সাথে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলার বিষয়ে একসাথে কাজ করতে পারে এবং এ সংক্রান্ত তথ্য বিনিময় করতে পারে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের পারস্পারিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে কাজ করার যথেষ্ট সুযোগ আছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের আগ্রহ দেখে আমি অত্যন্ত মুগ্ধ। এ খাতে সহযোগিতার ক্ষেত্র নির্ধারণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের সাথে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের বিস্তারিত আলোচনা হতে পারে”।