দীর্ঘদিন বন্যার পানিতে নিমজ্জিত থাকার পর সবুজে সমারোহ বগুড়ার সারিয়াকান্দির যমুনার চরগুলো। চরের কৃষকরা মরিচ, গাইঞ্জা ধান, মূলা, পিয়াজ, ডাঙ্গা, লাউসহ নানা ধরনের শাক-সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। চরের ফসলগুলোর মধ্যে অর্থকরী ফসল হিসেবে অধিক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে দীর্ঘসময় ফলদানকারী হাইব্রিড মরিচ।
জানা গেছে, গত কয়েক বছর ধরে হাইব্রিড মরিচের ভাল ফলন পাওয়ায় কৃষকরা এ জাতের মরিচ চাষে খুবই আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এ অর্থবছরে মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪ হাজার হেক্টর। উপজেলায় সর্বমোট ৩৭০৫ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে।
এর মধ্যে হাইব্রিড মরিচের লক্ষ্যমাত্রা ছিল মাত্র ৮০০ হেক্টর, যা লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ১৭৩৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। আর উফসি জাতের মরিচের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩২০০ হেক্টর, যা কমে ১৯৭০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। সারিয়াকান্দির প্রায় সব অঞ্চলেই মরিচ চাষ হলেও চরাঞ্চলে মরিচের চাষ অপেক্ষাকৃত বেশি পরিমাণে হয়।
চরাঞ্চলের মধ্যে চালুয়াবাড়ী, হাটবাড়ী, ফাজিলপুর, তেলীগাড়ী, গওলাডাঙ্গা, মানিকদাইড়, আউচারপাড়া, কাকালিহাটা, সবুজের পাড়া, চকরথিনাথ, দিঘাপাড়া, করনজাপাড়া, বনরপাড়া, কাজলা, জামথল, পাকুরিয়া, উত্তর টেংরাকুরা, চরঘাগুয়া, নব্বইয়ের চর, কটাপুর, বেড়া পাঁচবাড়িয়া, কুড়িপাড়া, বাওইটোনা, উত্তর বেনিপুর, দক্ষিণ বেনিপুর, চরবাটিয়া, চিলাপাড়া, চরপাড়া, মথুরাপাড়া, ইন্দুরমারা, ডাকাত মারা, মূলবাড়ী, ধারাবর্ষা, শংকরপুর, কমরপুর, মাঝবাড়ী, মাঝিয়া, হাতিয়াবাড়ী এবং পৌতিবাড়ী চরে হাইব্রিড মরিচের গাছগুলো সতেজভাবে বেড়ে উঠছে। মরিচের সতেজ গাছগুলো বাম্পার ফলনের জানান দিচ্ছে। গত বছরে হাইব্রিড মরিচের ফলন হয়েছিল প্রতি হেক্টরে শুকনা ২.৪ মেট্রিক টন।
সারিয়াকান্দি সদরের মরিচ চাষি আবদুল করিম জানান, গত বছর তিনি এক বিঘা জমি থেকে সারা বছর খেয়েও ৩৫ হাজার টাকা লাভ পেয়েছেন। এ বছর গাছের তেজ গত কয়েক বছরের তুলনায় অনেক ভাল মনে হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর ফলন আরও বেশি হবে বলে মনে হচ্ছে।
সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল হালিম বলেন, গত কয়েক বছর ধরে হাইব্রিড মরিচের ভালো ফলন পাওয়ায় কৃষকরা এ জাতের মরিচ চাষে খুবই আগ্রহী হয়ে উঠেছে।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন