চাঁপাইনবাবগঞ্জে পটাশ সারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এ সুযোগে বেশি দামে সার বিক্রি করছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন কৃষকরা।
তবে কৃষি বিভাগ বলছে, তাদের কাছে পটাশ সার আজকে এসেছে। আশা করা যাচ্ছে, দুইদিনের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান হবে।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় জেলার বিভিন্ন বিসিআইসি ডিলারদের দোকানে গিয়ে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
শহরের শিবতলা মোড় এলাকার সজিব নামে এক আম চাষি বলেন, আমের সিজন শেষ। ১০ দিন আগেই গাছের সব আম পেড়ে শেষ করেছি। এ গাছগুলোতে বর্তমানে সার দেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু গত তিনদিন ধরে বিভিন্ন স্থানে পটাশ সার খুঁজছি। দুঃখজনক হলেও সত্যি কোনো দোকানে সার পাচ্ছি না।
শিবগঞ্জ উপজেলার এনামুল নামে এক আম চাষি বলেন, গত দুইদিন ধরে শ্রমিক ঠিক করে রেখেছি। আম বাগানে সার দেবো বলে। আমার বাগানে ডিএপি ও পটাশ সারের প্রয়োজন। মঙ্গলবার দুপুরে দোকানে গিয়ে ডিএপি সার পেলেও পাওয়া যাচ্ছে না পটাশ। এতে বিপাকে পড়েছি।
তিনি আরও বলেন, সকালে শিবগঞ্জ বাজারের বিসিআইসি ডিলার আনোয়ারের দোকানে ডিএপি সার কিনতে গেলে দাম চাইছেন এক হাজার টাকা বস্তা। কিন্তু এই ডিএপি সারের সরকার নির্ধারিত দাম ৮০০ টাকা। তিনি ২০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছেন।
জেলার রাকিব, নাজমুল, হাকিম, শরীফসহ বেশ কয়েকজন চাষি কাছে পটাশ সার না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন খুচরা দোকানে পটাশ পাওয়া গেলেও দাম বেশ চড়া। সরকারি মূল্য ৭৫০ টাকা। কিন্তু তারা বিক্রি করছেন ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা বস্তা।
সদর উপজেলার গোবরাতলা এলাকার বিসিআইসি ডিলার তানিউল হাসান ব্রাদার্সের মালিক তানিউল হক বলেন, গত দুইমাস ধরে পটাশ সারের তীব্র সংকট। কৃষকের চাহিদামতো সার পাওয়া যাচ্ছে না। এরই মধ্যেই পটাশ সারের অর্ডার দিয়ে রেখেছি। কিন্তু পাচ্ছি না।
শিবগঞ্জ বাজারের বিসিআইসি ডিলার আনোয়ার হোসেন বলেন, দেড়মাস থেকেই পটাশ সারের সংকট রয়েছে। আর ৮০০ টাকার ডিএপি এক হাজার টাকা বিক্রির বিষয়ে তিনি বলেন, আমার কাছে যে সার গুলো আছে সেগুলো বাইরে থেকে কেনা তাই দাম বেশি।
শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, সরকারি মূল্যের থেকে বেশি দামে সার বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টিতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানতে চাইলে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) রাজিবুর রহমান বলেন, কিছুদিন থেকেই পটাশ সারের সংকট ছিল। তবে আমাদের কাছে পটাশ সার পৌঁছেছে। আশা করছি, দুইদিনের মধ্যে পটাশ সারের সংকট কেটে যাবে।