পুষ্টির চাহিদা মেটাতে ও চাষিদের আয় বৃদ্ধিতে নতুন মাত্রায় কৃষিতে অনেক আগেই যুক্ত হয়েছে মাল্টা চাষ। তারই ধারাবাহিকতায় মাল্টা চাষে সফলতার মুখ দেখতে ৩ বছর আগে নিজের ৫৫ শতাংশ জমিতে বারি-১ জাতের মাল্টা চাষ শুরু করেছে আব্দুল হাকিম নামের এক যুবক। সে বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের হেউটনগর গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতায় নিরাপদ উদ্যানতাত্ত্বিক ফসল উৎপাদন ও সংগ্রহোত্তর প্রযুক্তি মাঠ পর্যায়ে মাল্টা চাষে উৎসাহ করছে।
চাষি আব্দুল হাকিম উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ৫৫ শতাংশ জমিতে বারি-১ জাতের ৩শ টি চারা গাছ দিয়ে মাল্টা চাষ শুরু করে। ৩ বছরে তার জমিতে খরচ হয়েছে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। হেউটনগর গ্রামেরর প্রধান সড়কের পাশে বাগান জুড়ে রসালো সবুজ মাল্টার সমাহার পথচারিদের দৃষ্টি আকর্ষন করে। ফলে ফলে ভরা গাছের ডাল কিছুটা নুয়ে পড়েছে মাটিতে। মাল্টা চাষে সার্বিক খবর ও কৃষকদের কৃষি সেবা প্রদান অব্যাহত রেখেছে উপজেলা কৃষি অফিস।
ধুনট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, উপজেলায় প্রায় ১৫ হেক্টর জমিতে মাল্টা চাষ করা হয়েছে। চাষিদের প্রয়োজনীয় সেবা দিতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছে উপজেলা কৃষি অফিস। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনেকেই বেকার সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতেই মাল্টা চাষে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করছে অনেক যুবক।