এদিকে, আগাম মুকুল আসায় গাছে গাছে শুরু হয়ে গেছে মৌমাছির গুঞ্জন। মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণ যেন কাছে টানছে মৌমাছিদের। গাছে গাছে চলছে ভ্রমরের সুর ব্যঞ্জনা।
দিনাজপুর সদর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা রাকিব হাসান বলেন, এ এলাকার অনেক গাছ মুকুলে ছেয়ে গেছে। পাশে আরও আম গাছ থাকলেও সেগুলোতে মুকুল আসেনি।
কসবা এলাকার আসলাম হোসেন বলেন, শীত আর ঘন কুয়াশার কারণে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। তবে এরই মাঝে আগেভাগেই কিছু আম গাছে মুকুল এসেছে। সাধারণত ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে আমের মুকুল আসে। এবার প্রায় এক মাস আগে এসেছে মুকুল।
দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নুরুজ্জামান বলেন, কিছু আম গাছে আগাম মুকুল এসেছে। শীতে আমের মুকুল ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। মূল ক্ষতি করে কুয়াশা। এ কারণে মুকুল রক্ষায় চাষিদের গাছ পরিচর্যায় গুরুত্ব ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, কুয়াশার কারণে এক ধরনের ফাঙ্গাস সৃষ্টি হয়। তাতে মুকুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই নিয়মিত স্প্রে করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।