ডিজিটাল যুগের উপযোগী মানুষ গড়ে তুলতে না পারলে শিক্ষার মূল লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়, বলেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার।তিনি গবেষণার পাশাপাশি ডিজিটাল কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহারে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে জোরালো উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান। তার মতে ডিজিটাল যুগের প্রযুক্তি যেমন রোবোটিক্স, আইওটি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ব্লকচেইন ইত্যাদি প্রযুক্তি কৃষি খাতেও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হবে।
মন্ত্রী বৃহস্পতিবার (০২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,টাইমস হায়ার এডুকেশন –এর তালিকায় বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এক হাজার থেকে এক হাজার দুইশ’র মধ্যে স্থান লাভ উপলক্ষ্যে বাকৃবি আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বাকৃবি আইকিউএসি এর পরিচালক প্রফেসর ড. মো: তাজ উদ্দিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাকৃবি উপাচার্য প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান,বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মোঃ আবু
তাহের এবং মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব সুভাষ সিংহ রায়।বাকৃবি আইকিউএসি এর অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. মো: হারুন অর রশীদ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বাকৃবি এই অর্জন অত্যন্ত গৌরবের উল্লেখ করে বলেন, কৃষি ভিত্তিক এই দেশে সর্বশ্রেষ্ঠ কৃষি শিক্ষার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ। প্রতিষ্ঠানটির এই অর্জন বাংলাদেশের অর্জন, এই অর্জন বাংলাদেশের জন্য বড় পাওনা। বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের সভাপতি জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রায় সতের কোটি মানুষের এই দেশটিতে খাদ্যে উদ্বৃত্ত হবার অবস্থানে পৌছানোটা বঙ্গবন্ধুর কৃষক ও কৃষির উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপের ধারাবাহিকতার ফসল।বাংলাদেশের এই রূপান্তরে মানব সম্পদ সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।তিনি বলেন বিশ্বে হাজার হাজার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বাকৃবি ১হাজার থেকে ১২শতের মধ্যে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করা একটি অসাধারণ বিষয়।বঙ্গবন্ধুর পথ ধরেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সামনে নিয়ে যাচ্ছেন উল্লেখ করে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রদূত জনাব মোস্তাফা জব্বার বঙ্গবন্ধু কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতি মানুষকে নিয়ে ভাবতেন, তাদের মর্যাদা দিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনা সেই পথই অনুসরণ করছেন। তিনি নির্বাচনী ইশতেহারে গ্রাম হবে শহর এই ধারণাকে স্থান দিয়েছেন। তার যুগান্তকারী ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ফলে করোনা অতিমারির প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের জিডিপি অর্জন বিশ্বে চমক সৃষ্টি করেছে। অতীতে তিনটি শিল্প বিপ্লব মিস করে শেখ হাসিনা পশ্চাদপদ একটি দেশকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বা সোসাইটি ফাইভ পয়েন্ট জিরো –এর নেতৃত্বের জায়গায় উপনীত করেছেন বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে যে প্রযুক্তির কথা বলা হয়েছে কৃষিতেও সে প্রযুক্তি প্রয়োগ করার আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আইওটি ডিভাইস দিয়ে কৃষক জানতে পারবে তার সেচ ও সার কখন দিতে হবে, কতটুকু দিতে হবে।পুকুরে মাছকে কখন খাবার দিতে হবে কতটুকু দিতে হবে তা নিশ্চিত করবে আইওটি প্রযুক্তি। এরফলে কৃষিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা হবে। তিনি এই লক্ষ্যে বাকৃবিকে উপযু্ক্ত মানব সম্পদ তৈরির ওপর গুরুত্ব প্রদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
র্যাংকিং তালিকায় বাংলাদেশের তিনটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থান লাভ করেছে।বিশ্ববিদ্যালয় তিনটি হচ্ছে – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)।২০২১ সালে ৯৩টি দেশের প্রায় ১০ হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্য থেকে ১ হাজার ৬শ’ ৬২টির তালিকা প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি। জাতিসংঘ নির্ধারিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এসডিজি অর্জনের ভিত্তিতে গবেষণা, আউটরিচ এবং শিক্ষণ এর মানদন্ডে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়ে থাকে।