বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর হতে প্রাপ্ত তথ্য মতে, বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এ পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে ২৫-২৭ মে বাংলাদেশের ৩০টি জেলায় ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
জেলাগুলো হলো- সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, মাগুরা, মেহেরপুর, নড়াইল, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, শরীয়তপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জয়পুরহাট, নওগাঁ, নাটোর, পাবনা, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ ও বগুড়া।
এ অবস্থায়, ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে ঘরে তোলার উপযোগী ফসলকে রক্ষার জন্য সরকারি এক তথ্যবিবরণীতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ১০টি পরামর্শ দিয়েছে। তা হলো-
১. বোরো ধান ৮০% পরিপক্ব হয়ে গেলে দ্রুত সংগ্রহ করে ফেলুন।
২. সংগ্রহ করা ফসল পরিবহন না করা গেলে, মাঠে গাদা করে পলিথিন শিট দিয়ে ঢেকে রাখুন। যেন ঝোড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ক্ষতি না হয়।
৩. দ্রুত পরিপক্ব সবজি ও ফল বিশেষ করে আম ও লিচু সংগ্রহ করে ফেলুন।
৪. সেচ, সার ও বালাইনাশক প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
৫. দণ্ডায়মান ফসলকে পানির স্রোত থেকে রক্ষার জন্য বোরো ধানের জমির আইল উঁচু করে দিন।
৬. নিষ্কাশন নালা পরিষ্কার রাখুন যেন জমিতে পানি জমে থাকতে না পারে।
৭. খামারজাত সব পণ্য নিরাপদ স্থানে রাখুন।
৮. আখের ঝাড় বেঁধে দিন, কলা, অন্যান্য উদ্যানতাত্বিক ফসল ও সবজির জন্য খুঁটির ব্যবস্থা করুন।
৯. পুকুরের চারপাশ জাল দিয়ে ঘিরে দিন, যেন ভারী বৃষ্টিপাতের পানিতে মাছ ভেসে না যায়।
১০. গবাদি পশু, হাঁস মুরগি শুকনো ও নিরাপদ জায়গায় রাখুন।