উত্তর জনপদের শষ্য ভান্ডার খ্যাত নওগাঁর আত্রাইয়ে বিভিন্ন এলাকায় অতিরিক্ত ইরি-বোরো ধান চাষ হওয়ায় উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। চলতি মৌসুমে বোরো ধানের বীজতলা ও রোপনের আগ্রহ দেখে এমনটাই ধারণা করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ। জমি চাষ, চারা উত্তোলন, চারা রোপন ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলার কৃষকরা।
তবে শ্রমিকদের মজুরি বেশি হওয়ায় ধান রোপনের সাথে অধিক খরচ যোগ করতে হচ্ছে। গত বছর উপজেলায় বোরো ধান চষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য্য ছিল ১৭ হাজার ৯শত ৫০ হেক্টর জমি। চলতি বছরে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য্য ১৮ হাজার ৮শত ৮৫ হেক্টর জমিতে। এ বছর বোরো ধান একটু আগেই রোপন শুরু হয়েছিল, তা এখন পর্যন্ত রোপন চলছে।
এ পর্যন্ত ৯০ ভাগ জমিতে বোরো ধান রোপন হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, আগামী সপ্তাহের মধ্যে সিংহভাগ জমিতে বোরো ধান রোপন সম্পন্ন হবে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৮টি ইউনিয়নের প্রতিটি ব্লকে কম-বেশি বোরো ধান চাষ হয়েছে। উপজেলার কৃষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কম জমিতে উন্নত জাতের বোরো ধান চাষ করে বেশি ফলন পেতে ব্যাপক সহায়তা করছে কৃষি বিভাগ। উন্নত জাতের বীজ ও সার প্রদান করে কৃষি বিভাগ উপজেলার কৃষকদেরকে সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিয়ে আসছেন।
যেন রোপন করা চারা সঠিক যত্ন সহকারে বড় হতে পারে। উপজেলার সাহাগোলা ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের ইকরাইল হোসেন, মেহেদী হাসান এবং গোলাপসহ কয়েকজন কৃষকবলেন, গত বছর শুরুতে অতি বৃষ্টি হওয়ায় অনেক জমিতে চারা রোপন করতে দেরি হয়েছিল। কিন্তু চলতি মৌসুমে তারাতারি বিলের পানি নেমে যাওয়ায় সময়মতো জমিতে বোরো ধান রোপন সম্পন্ন হয়েছে।
রসুলপুর গ্রামের ফাদিল হোসেন বলেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর আমি বেশি জমিতে বোরো ধান চাষ করেছি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমাকে ধান চাষে সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিয়ে আসছেন। সঠিক পরিচর্যা, আবহাওয়া ভালো থাকায় ও কীটপতঙ্গের আক্রমণ না হওয়ায় এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ কে.এম কাউছার হোসেন বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে বাকি জমিতে বোরো ধান রোপন সম্পন্ন হবে। রোগ-বালাইয়ে কি পরিচর্যা করতে হবে তা কৃষি অফিস সব সময় পরামর্শ দিয়ে আসছে।