English

15 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪
- Advertisement -

শেরপুরের পরীক্ষামূলক রঙিন ফুলকপির চাষ, বাম্পার ফলন

- Advertisements -

শেরপুরে পরীক্ষামূলকভাবে হলুদ আর বেগুনি রঙের ফুলকপি চাষ করা হয়েছে। রঙিন ফুলকপি চাষে এ জেলায় এই প্রথম। পরীক্ষামূলক প্রথমবারের চাষেই বাম্পার ফলন হয়েছে।

পাশাপাশি বাজারে চাহিদা ভাল থাকায় কৃষকেরাও খুশি। আগামিতে আরো বেশি জমিতে বাহারি রঙের ফুলকপির চাষের পরিকল্পনা করছেন তারা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, এবার প্রথমবার হলুদ, বেগুনি, খয়েরি ও সাদা রঙের ফুলকপি চাষাবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারের এর চাহিদাও ভাল। আগামিতে ব্যাপকভাবে বাহারি রঙের ফুলকপি চাষে কৃষিতে যোগ হবে নতুন মাত্রা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবারই প্রথম শেরপুরের ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী ও নকলা উপজেলায় পৃথকভাবে পরীক্ষামূলক হলুদ, খয়েরি ও বেগুনি রঙের ফুলকপির চাষাবাদ করা হয়েছে। রঙিন ফুলকপিতে ভিটামিন বেশি। এই ফুলকপির দিকে চোখ পড়লে চোখ আটকে যায়।

নকলার কৃষক আবুল কালাম আজাদ মাত্র ২০ শতাংশ জমিতে ২ হাজার হলুদ ও বেগুনি রঙের ফুলকপির চারা রোপণ করেছেন। এতে তার ব্যয় হয়েছে মাত্র ৭ হাজার টাকা। তার ক্ষেতে প্রতিটি ফুলকপির ওজন হয়েছে প্রায় এক কেজি। তিনি এসব ফুলকপি বিক্রি শুরু করেছেন। বাজারে এর চাহিদাও বেশি।

আবুল কালাম আজাদ জানান, সাদা ফুলকপির মতোই এর চাষাবাদ পদ্ধতি। খরচও একই। কিন্তু ফলন ভাল। বাজারে এর চাহিদা বেশি থাকায় প্রতিটি কপি বিক্রি করছেন ৩৫ হতে ৪০ টাকায়। তিনি আশা করছেন প্রায় ৭০ হাজার টাকার ফুলকপি বিক্রি করবেন।

অপরদিকে ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে ১৫ শতক জমিতে চার রঙের ফুলকপির বীজ বপন করেন কৃষক শফিকুল ইসলাম। এতে তিনি কোন প্রকার রাসায়নিক সার বা কীটনাশক ব্যবহার না করে শুধু জৈব সার ব্যবহার করেছেন। এতে চারাসহ সব মিলে তার খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। চারা রোপণের ৭০ থেকে ৭৫ দিন পর ক্ষেতে আসে রঙিন ফুলকপি।

ঝিনাইগাতীন সবজি চাষি শফিকুল জানান, রঙিন ফুলকপি এরই মধ্যে বিক্রি শুরু করেছেন। তিনি আশা করছেন, পুষ্টিগুণে ভরপুর এই রঙ্গিন ফুলকপিগুলো ১লাখ ৩০হাজার টাকার মতো বিক্রি করতে পারবেন।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন