নার্সারি করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন গোলাপগঞ্জের শৌখিন বৃক্ষপ্রেমিক ছালিকুর রহমান । গোলাপগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের এম এ রহমান হাসাপাতাল রাণাপিং এর পাশে প্রায় ৪৬ শতক জমিতে তিনি গড়ে তুলেছেন ৫ শতাধিক জাতের দেশি–বিদেশি গাছের বিশাল ভান্ডার। তবে থেমে নেই জাতসংগ্রহ। সংগ্রহে নেই এমন কোনো গাছের নাম শুনলেই তিনি ছুটে যান, সংগ্রহ করে আনেন চারা।
ছালিকুর রহমান একজন লেখক, তিনি চারটি বই প্রকাশ করেছেন তার মধ্যে, ও ছখিনা জালাইয়না, গোলাপগঞ্জের হারানো মানিক, কেয়ামতের দর্পন, হযরত মাওলানা শাহ সুফী শামসুদ্দীন (রঃ) তাঁর পুণ্যময় জীবন ও বাণী সহ আরো ৯ টি বই প্রকাশের জন্য অপেক্ষমান রয়েছে। তিনি বই লিখার পাশাপাশি ২০০৩ সালে মাত্র ২০ হাজার টাকার পুজি নিয়ে অল্প পরিসরে গাছের চারা সংগ্রহ করে ছোট পরিসরে নার্সারি শুরু করেন। দিন দিন নার্সারীর আকার বড় করে তিনি নাম দেন সবুজ নার্সারি। এখন বাণিজ্যিকভাবে সফলতাও পাচ্ছেন তিনি।
ছালিকুর রহমান জানান, ২০০৩ সালে নার্সারী শুরু করে গত কয়েক বছরের ব্যবধানে পুরো গোলাপগঞ্জ উপজেলায় তিনি ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন। বর্তমানে তাঁর নার্সারিতে তিনি সহ তিনজন শ্রমিক কাজ করেন।
ছালিকুর রহমানের সবুজ নার্সারিতে আম বারি-৪, সূর্যডিম, কাটিমন, সুবর্ণরেখা,আম্রপালিসহ প্রায় ৫০ জাতের দেশি-বিদেশি আমের চারা রয়েছে। এ ছাড়া চায়না-৩ লিচু, বেদানা লিচু, মুম্বাই লিচু, জাম, ভিয়েতনামি কাঁঠাল, পেয়ারা, রাম্বুটান, সাতকরা, থাই পেয়ারা, লটকন, আমলকি, কদবেল, পেঁপে, সফেদা, ভিয়েতনামি নারিকেল, জামরুল, থাই মিষ্টি তেঁতুল, বেদেনা, ডালিম, আপেল, সাদা আপেল, কমলা, নাশপাতি, বেল, চালতা, আমড়া, ড্রাগন ফল, আক্সগুর, মিষ্টি জলপাই, করমচা, বুবি, চায়না কমলা, কাশ্মীরি কুল, বাউকুলসহ প্রায় শতাধিক দেশি–বিদেশি ফলের চারা রয়েছে।
ওষধী গাছের মধ্যে রয়েছে, গ্রাবিউলা, তিনফল, যৌতুন, বেহুলা সুন্দরী, বিল্লি লুটন, কামেক্কা লতা, মৌহা সুন্দরী, নাক্ক্বসর, কাটা বক্কুর, ওর্জুন, পিপুল, বয়রা, এওলা অর্থকি, সহ সতাধীক গাছ।
এছাড়া ক্রসল, ক্ষারাগন, রামভুটান, স্টবেরী পিয়ারা, চায়না পিয়ারা, থাই পেয়ারা, আপেল পেয়ারা, আঙুর, বিভিন্ন দেশি মালটা, কমলা, কাটাল, পান বিলাশ, খাশিয়া পান সহ প্রায় ৩০ হাজার চারা রয়েছে।
অপর দিকে শোভাবর্ধনকারী গোলাপ, মুসেন্দা, রঙ্গন, বেলি, চার ধরনের জবা, জুঁই, গন্ধরাজ, হাসনাহেনা, বাগানবিলাস, সাদা জিনিয়া, কসমস, সূর্যমুখী, পাতাবাহার, কৃষ্ণচূড়া, মাধবীলতা, ক্রিসমাস ট্রি, ফিজিয়াম, ডালিয়া, নয়নতারাসহ প্রায় ১০০ দেশি–বিদেশি ফুলের চারা পাওয়া যায়।
এ ছাড়া বারোমাসী শজনে, এলাচি, দারুচিনি, লবঙ্গ, তেজপাতা, গোলমরিচ, লোভেরা, শতমূলী, তুলসীসহ বিভিন্ন মসলা, ঔষধি গাছ, কাঠের গাছ, সবজির চারা পাওয়া যায়।
ছালিকুর রহমান বলেন, ‘গাছ লাগানোটা হতে পারে আমাদের সামাজিক বন্ধন ও সুস্থ বিনোদনের উৎস। তা ছাড়া পরিবর্তিত জলবায়ুর বিরূপ প্রতিক্রিয়া থেকে বাঁচতে বৃক্ষ রোপণের বিকল্প নেই। আমি সখ করে এই নার্সারিটি করেছিলাম অল্প পরিসরে কিন্তু এখন অনেক সাড়া পেয়েছি। আমার নার্সারিতে সকল ধরনের চারা রয়েছে আমি কম দামে চারা বিক্রি করতেছি। তাই চারা প্রয়োজন হলে মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করে নিতে পারেন।
নার্সারিকে আরও সমৃদ্ধ করতে তাঁকে সব ধরনের সহযোগিতা করা প্রয়োজন বলে মনে করেন কৃষি গবেষকগণ। সবুজ নার্সারি থেকে চারা কিনতে যোগাযোগ করুন, ছাদিকুর রহমান মোবাইলঃ- ০১৭১১- ৪৪৫৩৩৭
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন