কারিমুল হাসান লিখন, ধুনট: আসছে মৌসুমী ফলের মাসে ভালো ফলনের আশায়, বগুড়ার ধুনট উপজেলা জুড়ে গাছে গাছে আম ও লিচুর মুকুলে যত্রতত্র ব্যবহৃত হচ্ছে কীটনাশক। কীটনাশক ব্যবহারে মুকুল থেকে ক্ষতিকর পোকা দমন হলেও ফল তৈরীতে পরোপকারী প্রজাতীর ভ্রমর, মৌমাছি, প্রজাপতি বিষক্রিয়ায় মারা যাচ্ছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে পরাগায়ন। প্রাকৃতিক ভাবে সঠিক সময়ে পরাগায়ন না হলে অধিক বা ভালো ফলন আশা করা যায়না।
সরজমিনে দেখা যায়, আধিকাংশ কীটনাশক ব্যবহারে ক্ষেত্রে মাত্রাপরিমান সঠিক না হওয়ায় দেখা দিয়েছে পার্শ্বপতিক্রিয়া। একদিকে যেমন অনাবৃষ্টি আর রোদের প্রখরতার জন্য মুকুল পুড়ে যাচ্ছে অন্যদিকে কীটনাশকের প্রতিক্রিয়ায় মুকুল নষ্ট হচ্ছে। মুকুলে কীটনাশক ছিটানোর কারনে পরাগায়নমুখী ভ্রমর, মৌমাছি ও প্রজাপতি বিলিন হয়ে যাচ্ছে। দেখা দিচ্ছে উৎপাদন সংকটের আশংকা। পরাগায়ন যদি না হয় তাহলে যত ভালো সার কীটনাশক ব্যবহার করা হোকনা কেন ফলন ভালো হবেনা।
বাগবাড়ি শহীদ জিয়া মহাবিদ্যালয়ের জীব বিজ্ঞান বিষয়ক প্রভাষক মোতাচ্ছিম বিল্লাহ সোহেল জানান, মাছি, ভ্রমর, প্রজাপতি এ ধরনের প্রানীর মাধ্যমে যেমন মুকুলে পরাগায়ন ঘটে। তেমনি বায়ু পরাগায়নের মাধ্যমেও পরাগায়ন ঘটে। কীটনাশক ব্যবহারে পরাগায়নমুখী প্রানী যেমন মারা যাওয়ায় পরাগায়নে ঘাটতি দেয়। আবার মুকুলের জন্য সহনশীল বায়ু প্রবাহ না হলেও পরাগায়নে বিঘ্ন ঘটে। যায় ফলে ফসল উৎপাদনে ভালো ফল পাওয়া যায়না।
বায়ু পরাগায়ন সম্পুর্ন প্রাকৃতিক একটি বিষয় কিন্তু কীটপতঙ্গ কর্তৃক পরাগায়ন কীটনাশক ব্যবহারের মাধ্যমে আমরাই নষ্ট করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত। কীটনাশকের ব্যবহার কমিয়ে কৃত্তিম উপায়ে ক্ষতিকর পোকা দমনের ব্যবস্থা করতে পারলে অনেকটাই উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব বলে মনে করেন অনেকে।