ফিরোজ আলম মিলন: রাজধানীর রুপনগর থানাধীন বিরুলিয়া বেড়িবাঁধে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক ও দুই আরোহীসহ তিন বন্ধু নিহত।
নিহতরা হলেন, মোঃ হারুন (১৭) মোটরসাইকেল চালক পেশায় সে হোন্ডা মেকানিক্স, মোঃ মিলন হোসেন (২০) ফুড পান্ডা মিরপুর জোনের ডেলিভারি ম্যান।
অপর জন হলেন মোঃ শামীম (১৭) আরোহী হোন্ডা মেকানিক্স।
আজ বিকেল সাড়ে চারটায় বিরুলিয়া বেরিবাধ সাদি পেট্রলপাম্পের সামনে রাস্তায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহতের বন্ধু শামীম হাসান জানান, আজ বিকেলে আমরা আর চারটি মোটর সাইকেলযোগে কয়েকজন বন্ধু মিলে বিরুলিয়া বেরিবাধ পঞ্চ বঁটিতে ঘুরতে বের হয়েছিলাম একই মোটরসাইকেলের ছিল শামীম, মিলন,ও হারুন মোটর সাইকেল চালাচ্ছিল।
পরে রূপনগর বেরিবাদ সাদী তেলপাম্প থেকে মোটরসাইকেলের তেল নিয়ে পঞ্চ বটির দিকে যাওয়ার সময় সাদি তেল পাম্পের সামনে রাস্তায় বিপরীত দিক থেকে মিরপুরের দিকে আসা একটি ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেলটি ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। সেখানে ঘটনাস্থলে মারা যান মোটরসাইকেল চালক হারুন।
আর সেখান থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে, মিলন ও শামীমকে প্রথমে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হয়।
পরে সেখান থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে মিলনকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।আর শামীমকে ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত আটটায় কর্তব্যরত চিকিৎসক শামিকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত শামীমের বাবা ফুলবার আলী জানান শামীম গ্যারেজের মেকানিক কাজ করে বিকেলে বাসায় আসছিল তার বন্ধু-বান্ধব দেয় পরে ঘুরতে বের হয় পরে খবর পেয়ে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে।পরে ঢামেক হাসপাতালে এসে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই।
রুপনগর থানার উপ-পরিদর্শক এসআই আনোয়ার হোসেন জানান, নিহতরা ৫টি মোটরসাইকেল যোগে বন্ধুরা বেরিবাদ এলাকায় ঘুরতে বের হয়েছিল।
তাদের মধ্যে এক মোটরসাইকেলে তিনজন থাকা গাড়িটি দ্রুতগতির ট্রাকের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে একজন মারা যায় আর দু জনকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃতদেহ তিনটি ময়নাতদন্তের হাসপাতাল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। কোন গাড়িতে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে এখনো শনাক্ত করা যায়নি গাড়িটি শনাক্তের চেষ্টা চলছে। তবে নিহতের লোকজনদের থেকে জানতে পেরেছি দ্রুতগতির ট্রাকের ধাক্কায় দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। আজ রাত সাড়ের দশটায় নিহতের স্বজনদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তিনটি মৃতদেহ বিনা ময়না তদন্তে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মৃত শামীম কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার সরকার টারিগ্রামের রিকশাচালক ফুলবার আলীর ছেলে। বর্তমানে রুপনগর হাউজিং এলাকায় পরিবারের সাথে ভাড়া বাসায় থাকত। এক ভাই এক বোনের মধ্যে ছিল ছোট। মৃত মিলন ঝালকাঠি জেলা কাঠালিয়া উপজেলার স’মিলের শ্রমিক সুবাহান বেপারীর ছেলে।
বর্তমানে মিরপুর শাহ আলী এলাকায় পরিবারের সাথে ভাড়া বাসায় থাকত। এক ভাই দুই বোনের মধ্যে সেছিল বড়। মৃত হারুন ভোলা সদর উপজেলার চর মনসা গ্রামের নিরাপত্তাকর্মী ফারুক হোসেনের ছেলে। বর্তমানে রূপনগর আবাসিক এলাকায় থাকতো। চার ভাই এক বোনের মধ্যে সে ছিল দ্বিতীয়।