রাজধানীর খিলগাঁওয়ে বাসের ধাক্কায় বাবার হাত থেকে ছিটকে পড়ে ছয় বছরের শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহত শিশুটির নাম আল রাহিদ। শনিবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে ত্রিমোহনী ইমামবাগ এলাকার রাস্তায় স্বাধীন পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় দূর্ঘটনাটি ঘটে।
স্বজনরা গুরতর আহত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল নিয় যায়।
পরে সেখান থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরিক্ষার পর শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
শিশুটির গ্রামের বাড়ি খুলনার সোনাডাঙা উপজেলার বসুপাড়ায়। তবে সে খিলগাঁওয়ের নন্দিপাড়ায় তার নানা-নানির বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকত। তার নানা-নানির পরিবার ২০ বছর যাবত সেই এলাকার বাসিন্দা। নিহতের বাবার নাম আক্তার হোসেন এবং মা শাহানা বেগম। রাহিদ দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে ছোট ছিল। সম্প্রতি সে স্কুলে যাওয়া শুরু করেচ
শিশুটির বাবা আগে একটি ইলেকট্রিক সরঞ্জাম তৈরির কারখানায় কাজ করতেন। পরে অসুস্থ হয়ে পরায় বর্তমানে কিছুই করছেন না। মাঝে মাঝে বাড়ির অদুরে বিলে মাছ ধরতে যান। তিনি জানান, ছেলেটা বায়না ধরেছিল সে ঘুরতে যাবে, তাই তাকে সঙ্গে করে বিলে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ছেলের হাতে ধরে পায়ে হেটে রাস্তার পাশ দিয়ে বাসায় ফিরছিলেন। সে সময় হঠাৎ স্বাধীন পরিবহনের একটি বাস ছেলেটিকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। এতে সে চোখের সামনে হাত থেকে ছিটকে পড়ে গুরতর আহত হয়ে ছটফট করতে থাকে। পরে সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
চিকিসৎক শিশুটির মৃত্যু নিশ্চিত করার পর তার বাবা-মা ও স্বজনদের আহাজারিতে হাসপাতালের পরিবেশ ভারি হয়ে উঠে। আশপাশের মানুষ এ দৃশ্য দেখে অনেকেই চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। সেখানে উপস্থিত লোকজন দুর্ঘটনার বাসটির চালকের শাস্তি দাবি করেছেন।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শিশুটির মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে এবং বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবিহিত করা হয়েছে।