সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও মহাসড়ক অবরোধ করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা।
শিক্ষার্থীরা জানান, গত ৬ নভেম্বর বরিশাল থেকে ঢাকা ওয়ার পথে ফরিদপুর এলাকায় সাকুরা পরিবহনের একটি বাস দুর্ঘটনায় ওই বাসের যাত্রী বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ৫ম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইসমাইল খলিলসহ অন্যরা আহত হয়। একদিন পর ফরিদপুর থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খলিলকে ঢাকায় একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে ইসমাইল খলিলের মৃ্ত্যু হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শোকের ছায়া নেমে আসে।
দুর্ঘটনার প্রতিবাদে এবং নিহতের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবিতে গতকাল সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে কর্ণকাঠী এলাকায় বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। এতে মহাসড়কের ওই এলাকায় সব ধরনের যান চলাচল সাময়িক বন্ধ হয়ে যায়।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান বঙ্কিম চন্দ্র সরকার বলেন, ‘দুর্ঘটনায় ওই শিক্ষার্থী আহত হওয়ার পর সাকুরা বাস কর্তৃপক্ষ তার চিকিৎসার বিষয়ে কোন খোঁজখবর নেয়নি। এতে সাকুরা পরিবহনের উপর শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ রয়েছে। কর্তৃপক্ষ সাকুরা পরিবহনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছে। তারা শিক্ষার্থীদের সাথে বসে একটা সমঝোতা করলে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ প্রশমিত হবে।’ শিক্ষার্থীর মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি ভোলায় পাঠিয়ে দেয়ার কথা বলেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. খোরশেদ আলম বলেন, ‘দোষ করেছে সাকুরা পরিবহন। কিন্তু মহাসড়ক আটকে দেয়ায় সমস্যা হচ্ছে সবার। তারা সাকুরা পরিবহনের সাথে বুঝুক। বিষয়টি শিক্ষার্থীদের বোঝানের চেষ্টা চলছে। তবে সব সময় তারা বুঝতে চায় না। ঘটনাস্থলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসেছেন। তারাও সাকুরা পরিবহনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছে।’ সংকট সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চেষ্টা করে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।