পাবনায় পুলিশের পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় ১জন মহিলা নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ২জন। ঘটনাটি ঘটছে গত ১৬ আগষ্ট সোমবার বিকাল পোনে ৫টায় পাবনা সদর উপজেলার পাবনা-পাকশি সড়কের হেমায়েতপুর বেতেপাড়া নামক স্থানে। দুর্ঘটনার এতদিন পর বিষয়টি আলোচনায় আসে সিসিটিভির একটি ফুটেজ সামাজিক মাধ্যমে ভাইরালের কারণে।
জানা গেছে গত ১৬ আগষ্ট মেয়ে জামাইয়ের জন্য চেয়ার কিনে তার কাছে রওনা দেন শাশুড়ি আমেনা বেগম। পৌছনোর আগেই পুলিশের একটি পিকআপের ধাক্কায় জীবন প্রদিপ নিভে যায় তার।
স্থানীয়রা জানায়, বিকাল পৌনে ৫টার দিকে পাবনামুখি পুলিশের পিকআপ ভ্যান ও দাপুনিয়া মুখি ব্যাটারী চালিত অটো ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ভ্যানের চালক সহ ৩জন গুরত্বর আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদেরকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
রাত ৮টার দিকে আহত আমেনা খাতুন মারা যায়। নিহত আমেনা সদর উপজেলার আফুরিয়া গ্রামের মৃত মেরাজ আলীর স্ত্রী। আরও জানা যায়, নিহত আমেনা বেগম মেয়ের জন্য একটি চেয়ার কিনে ও বাড়ি থেকে খাবার রান্না করে নিজ বাড়ি আফুরে থেকে মেয়ের বাড়ি দাপুনিয়া ইউনিয়নের টিকরি গ্রামে যাবার পথে বেতেপাড়ায় পুলিশের পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় গুরত্বর আহত হন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
সিসি টিভির ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় পুলিশের পিকআপের ধাক্কায় ৩জন আহত হলেও তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে না নিয়ে পিকআপটি পাবনার দিকে চলে যায়। পুলিশের এমন আচরনে ক্ষুদ্ধ স্থাণীয়রা ও সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহারকারীরা।
ফেষবুকে অনেকে মন্তব্য করেন, দুর্ঘটনা হতেই পারে। অন্তত আহতদেরকে পিকআপে তুলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে হয়ত আমেনা খাতুন মারা যেতেনে না।
একজন পুলিশ সদস্য মন্তব্য করেন, আমি একজন পুলিশ সদস্য, একসিডেন্ট হতেই পারে, তা সে যে কোন গাড়ির সাথে, হলে পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিবে এটাই স্বাভাবিক, এখানে পুলিশের গাড়ির সাথে ধাক্কা লেগে একজন মারা গেল, অথচ ঐ গাড়ি থেকে একজনও নামলোনা, দাড়িয়ে দেখে চলে গেল এজন্য এদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী জনাচ্ছি।
পাবনা পুলিশ সুপার মহাদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এই বিষয় টা খতিয়ে দেখার জন্য।সুষ্ট বিচার এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।