ঝালকাঠির নলছিটির সুগন্ধা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চেরে ধাক্কায় বালুমতি নামের একটি বালুবোঝাই বাল্কহেড ডুবে গেছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ঝালকাঠি থেকে সাড়ে তিন শ যাত্রী নিয়ে ঢাকাগামী লঞ্চ ফারহান-৭ সন্ধ্যায় নলছিটি লঞ্চঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়ার পর সুগন্ধা নদীর মল্লিকপুর এলাকায় ওই বাল্কহেডটিকে ধাক্কা দেয়। এতে বাল্কহেডটি ডুবে যায় এবং লঞ্চের সামনের কিছু অংশ ফেটে যায়।
বাল্কহেডে থাকা পাঁচজন স্টাফকে ট্রলারের মাধ্যমে স্থানীয়রা উদ্ধার করে। এ সময় লঞ্চের যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। যাত্রীদের তোপের মুখে লঞ্চটি সারদল এলাকায় চরে ভিড়িয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। এ সময় যাত্রীরা তাড়াহুড়ো করে লঞ্চ থেকে নেমে যায়।
ঘটনার পরপরই তুষখালী থেকে ঢাকাগামী পূবালী-৭ লঞ্চ দুর্ঘটনাস্থলে এসে কিছু যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। তবে অনেক যাত্রীই এ ঘটনার পর তাদের যাত্রাবিরতি করেছেন। খবর পেয়ে নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুম্পা সিকদার, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে যান।
লঞ্চযাত্রী সুমন বলেন, লঞ্চটি ধাক্কা লাগার পরেই যাত্রীরা চিৎকার শুরু করে। যাত্রীদের তোপের মুখে কর্তৃপক্ষ লঞ্চটি তীরে ভিড়িয়ে দেয়। আমরা নিরাপদে নেমেছি। অনেকে অন্য একটি লঞ্চে ঢাকা যাত্রা করেছে, অনেকে আবার বরিশাল থেকে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়। কেউ আবার যাত্রা বিরতি করেছে।
ফারহান লঞ্চের পরিদর্শক মো. বাপ্পী জানান, লঞ্চটি নলছিটি ঘাট ছাড়ার পর কিছুদূর গেলে অন্ধকারের মধ্যে নদীর মাঝখানে একটি বাল্কহেড দেখতে পায়। তাদের আলো দিয়ে ইশারা করা হয়। হর্ন বাজিয়ে সরে যেতে বলা হয়। কিন্তু তারা একস্থানেই রয়ে গেলে লঞ্চের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে লঞ্চের সামনে ফাটল ধরে পানি উঠতে শুরু করে। লঞ্চটি নিরাপদে সারদল এলাকায় তীরে ভিড়িয়ে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়। লঞ্চটি মেরামতের কাজ চলছে। বালুবোঝাই বাল্কহেডটি ডুবে গেছে। তাদের স্টাফদেরও নদী থেকে তুলে তীরে নেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুম্পা সিকদার বলেন, লঞ্চের যাত্রীদের নিরাপদে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। লঞ্চটির সামনের অংশে একটি ফাটল ধরেছে, তা মেরামাত করা হচ্ছে।
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, লঞ্চটি আপাতত মেরামত না করা পর্যন্ত সারদল এলাকায় সুগন্ধা নদী তীরে থাকবে। এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।