শফিক আহমেদ সাজীব: মেয়েকে নিয়ে ট্রেনের টয়লেটে এসেছিলাম, হঠাৎ নাকে টায়ার পোড়া গন্ধ আসছিল। টয়লেট থেকে বেরিয়ে দেখি ট্রেনের নিচে একটি হাইস গাড়ি।
ভেতরে কিছু মানুষ নাড়া-ছাড়া করছিল। দুজন রক্ত বমি করছিল।
এরপর বের হচ্ছিল একটার পর একটা লাশ। ভাবতে পারিনি গাড়িটিতে এত লাশ ছিল। সর্বশেষ দেখলাম ১২টা লাশ বের হলো।
কথাগুলো বলছিলেন চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে খৈয়াছড়া রেলগেট এলাকায় যে ট্রেনের ধাক্কায় ১১ জন নিহত হয়েছেন সেই ট্রেনের যাত্রী কণ্ঠশিল্পী জনি খোন্দকার। তিনি বলেন, ঠিক দুপুর ১টা ৪৭ মিনিটের দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এদিকে চট্টগ্রামের শীতাকুণ্ড রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ খোরশেদ আলম বলেন, মোট ১১টা লাশ আমরা পেয়েছি। তাদের মিরসরাই মাস্তাননগর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আহত বাকি পাঁচজনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
বড় তাকিয়া স্টেশনে কথা হয় নিহত একজনের স্বজনের সঙ্গে। তিনি জানান, হাইসটি চট্টগ্রামের হাটহাজারীর আমান বাজারের জুগির হাট থেকে এসেছে। গাড়িটির চালকের নাম গোলাম মোস্তফা নিরু।
এদিকে রেলগেটটির গেটম্যান সাদ্দামের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে জানান, তিনি সিগনাল দিয়েছিলেন কিন্তু হাইস চালক সিগনাল অমান্য করেছেন।
স্থানীয়রা বলছেন, চালকের অবহেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
মিরসরাইয়ে রেললাইন পার হওয়ার সময় মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় ১১ যাত্রী নিহত হয়েছেন। নিহতরা সবাই মাইক্রোবাসের যাত্রী।
স্থানীয়রা জানান, রেললাইন পার হওয়ার সময় মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দিয়ে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে আসা মহানগর প্রভাতী ট্রেন প্রায় এক কিলোমিটার সামনে নিয়ে যায়। মাইক্রোবাসের যাত্রীরা খৈয়াছড়া ঝরনা দেখতে আসছিলেন।