শফিক আহমেদ সাজীব: চট্টগ্রামে ট্রেন ও মাইক্রোবারে মুখোমুখী সংঘর্ষে ১২ জন পর্যটক নিহতের ঘটনায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে আহ্বায়ক করা হয়েছে বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মো. আনছার আলীকে।
কমিটির সদস্যরা হলেন বিভাগীয় নির্বাহী প্রকৌশলী-১ আবদুল হামিদ, বিভাগীয় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার জাহিদ হাসান, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ড্যান্ট রেজানুর রহমান এবং বিভাগীয় মেডিকেল অফিসার মো. আনোয়ার হোসেন।
এই কমিটিকে বিস্তারিত তথ্য-উপাত্তসহ দ্রত রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।
অপরদিকে রেলের জি এম জাহাঙ্গীর হোসেনসহ রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মো. আনছার আলী বলেন, এই দুর্ঘটনায় আমরাও মর্মাহত। ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছে, দোষী কারা সে বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে। তবে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দিষ্ট কোনো সময় বেঁধে না দিলেও যত দ্রুত সম্ভব রিপোর্ট দাখিল করা হবে।
ইতোমধ্যে তদন্ত কাজ শুরু করেছি। চেষ্টা করছি তিন-চার দিনের মধ্যেই দাখিল করা হবে। এর আগে শুনেছি, ট্রেনটি বড়তাকিয়া ক্রস করার সময় লাইনে উঠে যায় মাইক্রোবাসটি। এ সময় ইঞ্জিনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসটি কিছু দূর চলে যায়। লেবেল ক্রসিংয়ের বাঁশ ঠেলে মাইক্রোবাসটি লাইনে ওঠে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১২ আরোহী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে মিরসরাই বড়তাকিয়া রেলস্টেশনের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রেনটি ছিল ঢাকা থেকে চট্টগ্রামমুখী মহানগর প্রভাতী। খৈয়াছড়া ঝরণা স্পট থেকে ফেরার পথে ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসটিকে প্রায় ১ কিলোমিটার ঠেলে নিয়ে যায়।
এসময় ঘটনাস্থলেই ১২ জন মারা যান। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। হতাহত সবাই মাইক্রোবাসের যাত্রী।
মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কবির হোসেন জানান, ঘটনাস্থলে ১২ জন মারা গেছেন এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। হতাহতদের বাড়ি হাটহাজারীর আমানবাজার এলাকায় বলে জানা গেছে।