গাজীপুরের কালীগঞ্জে মাইক্রোবাস ও ট্রেনের সংঘর্ষে মাইক্রোবাসের এক আরোহী নিহত এবং চালক আহত হয়েছেন। সোমবার ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল সড়কের নলছাটা রেলক্রসিংয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম সোহেল হাসিম খান (৫০)। তিনি গাজীপুরের কালীগঞ্জ থানাধীন বক্তারপুর ইউনিয়নের ফুলদি গ্রামের আলী আজম খানের ছেলে। সোহেল খান স্থানীয় ‘সাইফ পাওয়ার টেক’ কোম্পানির প্রধান পার্সেস কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
রেলওয়ের নরসিংদী পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই ইকবাল হোসেন ও স্থানীয়রা জানান, সোমবার বেলা ১১টার দিকে কালীগঞ্জের নাগরী এলাকা থেকে মাইক্রোবাসযোগে নলছাটা ব্রীজের দিকে যাচ্ছিলেন সোহেল হাসিম খান। একই সময়ে নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনও ওই এলাকা অতিক্রম করছিল। পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল সড়কের অরক্ষিত নলছাটা রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় মাইক্রোবাসটির সঙ্গে ওই ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসটি দুমড়ে মুচড়ে রেললাইনের পার্শ্ববর্তী খাদে ছিটকে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন মাইক্রোবাস আরোহী সোহেল হাসিম খান এবং আহত হন চালক সজিব খান (৩০)। স্থানীয়রা আহত সজীবকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে। খবর পেয়ে রেলওয়ের নরসিংদী পুলিশ ফাঁড়ির বিকেলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনের ওই ক্রসিং পয়েন্টে ব্যারিয়ার ও গেইটম্যান না থাকায় প্রায়শ: দূর্ঘটনা ঘটছে। ঝুকিপূর্ণ এ ক্রসিংয়ে গত ২ মে ট্রেনের ধাক্কায় পিকআপ আরোহী তিনজন তাল ব্যবসায়ী নিহত হন। এর আগে গত বছরের ২ অক্টোবর একই পয়েন্টে প্রাইভেটকার আরোহী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত একজন অধ্যাপকসহ দুইজন নিহত হন।