সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ঈদের কেনাকাটা করতে গিয়ে পাটলাই নদীতে ষ্টিল বডি নৌকার ধাক্কায় স্পিডবোট ডুবে মা ও মেয়ে নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন, উপজেলা সদর ইউনিয়নের রতন শ্রী গ্রামের বরুজ মিয়ার স্ত্রী জোসনা বেগম ও তার ৮ বছরের মেয়ে রুমি। অপরদিকে রিনা খান নামে এক নারীকে আশংকাজনক অবস্থায় সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রিনা খান তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও বালিয়াঘাট গ্রামের আবুল হোসেন খানের মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল (সোমবার) সন্ধার দিকে বাদাঘাট বাজার থেকে ঈদের কেনাকাটা শেষে ৮জন যাত্রী নিয়ে একটি স্পিডবোট দিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা করলে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের সামনে পাটলাই নদীতে অপরপ্রান্ত থেকে ছুটে আসা একটি পাথরবাহী ষ্টিল বডি নৌকা বোর্টিকে ধাক্কা দেয় ।
এতে স্পিডবোটটি নিয়ন্ত্রণ হারালে বোটে থাকা সবাই পানিতে ডুবে যায়। এসময় ৬ যাত্রী পাড়ে উঠতে পারলেও মা মেয়ে নিখোঁজ হন। পরে স্হানীয়রা প্রায় দুইঘন্টার পর ঘটনাস্হল থেকে ডুবন্ত অবস্থায় তাদের মৃত দেহ উদ্ধার করেন। এইদিকে বোর্ডে থাকা রিনা খান মাথায়,মুখে ও গালে মারাত্মক রক্তাক্ত হন।
পরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে তাহিরপুর সদরে হাসপাতালে নিয়ে যান। তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। বর্তমানে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ তরফদার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, দুইজনের লাশ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।