বাগেরহাট জেলা ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক রেদয়ান-উল ইসলাম রিদু (৩৮) আর নেই। আজ শনিবার সকাল ৬টার দিকে বাগেরহাট-খুলনা পুরাতন সড়কের যাত্রাপুর ইউনিয়নের বাদামতলা এলাকায় ট্রাকের সাথে মোটরসাইকেলর মুখোমুখি সংর্ঘষে ক্রিকেটার রিদু নিহত হয়েছে। ক্রিকেটার রিদুর নিহতের ঘটনায় বাগেরহাট সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ তার পরিবারে কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাগেরহাট সদর থানার (ওসি) কে,এম আজিজুল ইসলাম।
রিদু বাগেরহাট জেলা ক্রিকেট দলের বাগেরহাট জেলা ক্রিকেট দলের দীর্ঘ দিনের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ঢাকার বিভিন্ন ক্লাবে ক্রিকেট খেলেছেন। তিনি নিজ বাড়ি বাদেকাড়াপাড়া এলাকার কাছে দশানী সার্কিট হাউস মোড়ে বড় একটি ডিপাটমেন্টাল স্টোর পরিচালনা করে আসছিলেন। রিদু এক মেয়ে ও এক ছেলে সন্তানের জনক ছিলেন।
শনিবার সকালে ডিপাটমেন্টার স্টোরের জন্য যাত্রাপুর এলাকায় মটরসাইকেল যোগে কলা কিনতে গিয়েছিলেন রিদু। সেখানে যাবার পথে যাত্রাপুর ইউনিয়নের বাদামতলা এলাকায় ট্রাকের সাথে তার মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। দুঘটনার পর ট্রাকটি পাশের খাদে পড়ে যায়। তবে ট্রাকের চালক নিজেই অন্যদের সহযোগীতায় রিদুকে দ্রুত বাগেরহাট সদর হাসপাতালের নিয়ে আসে। মাথায় ও বুকে গুরুত্বর আহত রিদুকে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেও তাকে বাঁচাতে পারেনি।
বাগেরহাট জেলা দলের ক্রিকেট কোচ শংকর পাল জাানন, সকাল ৬টার দিকে ক্রিকেটর রিদু মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা যান। তিনি বলেন, তার হাতে গড়া ক্রিকেটারের মধ্যে রিদু ছিলেন অন্যতম। বাগেরহাট ক্রিকেটাস ক্লাবের হয়ে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে জেলা পর্যায়ের রিদু ব্যাপক পরিচিতি পায়। পরে উন্মোচন ক্লাবে এবং ঢাকার ক্লাবে ক্রিকেট খেলেছেন রিদু।
বাগেরহাট জেলা দলের সাবেক এই ক্রিকেটার রেদয়ান-উল ইসলাম রিদুর মৃত্যুর খবর শুনে ক্রীড়াঙ্গন ও তার সতীর্থরা হাসপাতাল মর্গে ছুটে যান। তার মৃত্যুতে বাগেরহাট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমানসহ সকল কর্মকর্তাবৃন্দ শোক প্রকাশ করে বলেছেন, জেলা ক্রিকেট দলের সাবেক অধনায়ক রিদু অতন্ত্য প্ররিছন্ন খেলোয়াড় ছিলেন। তার মুত্যৃতে বাগেরহাট জেলা ক্রিকেটের অনেক ক্ষতি হলো। প্রতি বছর বাগেরহাট জেলা দল গঠনে তার ভুমিকা ছিল প্রশংসনীয়। বাগেরহাট জেলা ক্রীড়া সংস্থা তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতিও সমবেদনা জানাচ্ছে।