রংপুরের মিঠাপুকুরে দুই যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন দুই বাসের অন্তত ৫০ জন যাত্রী।
রোববার (১৮ জুলাই) সকাল সোয়া ৭টার দিকে উপজেলার বলদীপুকুর বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। বাকিরা হলেন- ঢাকার সাভার ধামরাই চৌতাল এলাকার বাসিন্দা সেলফি পরিবহনের বাসচালক আব্দুল খলিল (৫০), রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার চতরা এলাকার বাসিন্দা ও স্থানীয় একটি মাদরাসার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আবদুল মিতন মিয়া (৭০), গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের জমির উদ্দিনের ছেলে কৃষক ফরিদ (৩৫), একই জেলার সাদুল্যাপুরের ইসুবপুর গ্রামের বাবু মিয়ার মেয়ে বাবলী আক্তার (৯) ও নীলফামারীর সৈয়দপুরের কাজীপাড়ার মৃত আফাজ উদ্দিনের ছেলে আহসান হাবীব (২৭)। এদের মধ্যে দুর্ঘটনায় নিহত শিশু বাবলী আক্তারের মা সেতারা বেগম আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রংপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক একেএম সামসুজ্জোহা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তাৎক্ষণিক হতাহতের পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ জানায়, ঢাকা থেকে রংপুরগামী সেলফী পরিবহন ও রংপুর থেকে ঢাকাগামী জোয়ানা পরিবহনের দুটির বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সেলফী পরিবহনের চালকসহ ঘটনাস্থলেই ছয়জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুই বাসের অন্তত ৫০ জন যাত্রী। এদের মধ্যে গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়।
বড়দরগাহ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়ামিন-উদ-দৌলা জানান, ‘ওভারটেক করতে গিয়ে এ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। মুখোমুখি সংঘর্ষে বাস দুটি ছিটকে গিয়ে সড়কের দুপাশের খাদে পড়ে যায়। এতে দুমড়ে মুচড়ে গেছে বাসের সামনের অংশ। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খাদে পড়ে থাকা বাস দুটি সরিয়ে নেয়া হয়েছে।’