জ্বরে আক্রান্ত ছয়মাস বয়সের মুক্তাকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন মা ও দাদি। তাঁদের বহন করা ইজিবাইকটি সড়কে উঠতেই বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগামির মাইক্রেবাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে রাস্তায় ছিটকে পড়েন তিনজনই। পরে আহত অবস্থায় তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুইজনকে মৃত ঘোষণা করলেও অলৌকিকভাবে বেঁচে যায় শিশু মুক্তা। গতকাল সোমবার ইফতারের আগে এমন ঘটনা ঘটে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের অরণ্যপাশা এলাকায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিশু মুক্তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে গাঙ্গাইল ইউনিয়নের পূর্ব অরণ্যপাশা (কান্দার বাড়ি) গ্রামের গিয়ে জানা যায় ওই গ্রামের কৃষক আব্দুল হেকিমের স্ত্রী জহুরা খাতুন (৫০) ও তাঁর পুত্রবধূ বৃষ্টি আক্তার (২১)। বৃষ্টির ছয়মাস বয়সি মেয়ে মুক্তা খাতুনকে নিয়ে স্থানীয় চৌরাস্তা বাজারের ডাক্তারের কাছে যাচ্ছিলেন তারা। সেখান থেকে ইফতারের পূর্বেই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তাদের বহন করা ইজিবাইকটি ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়ক ধরে অরণ্যপাশার নঈমুদ্দিন সরকারের বাড়ির সামনে এলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাইক্রোবাস তাদের বহন করা ইজিবাইকটিকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়।
জহুরা খাতুনের ভাই ফজলু মিয়া ও বৃষ্টির পিতা সোনা মিয়া জানান, ময়নাতদন্ত ছাড়াই তারা লাশ দাফনের অনুমতি পেয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নান্দাইল হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ শফিউর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দুজনের লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে মাইক্রোবাসটির কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।