সড়ক দুর্ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদারসহ এক স্কুল ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৬মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে ভৈরব উপজেলার গজারিয়া গ্রামে এ দূর্ঘটনা ঘটে।
ওই দুর্ঘটনায় নিহত হন গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার ও মানিকদী চৌমুড়ী বাজারের মৃত আলাল উদ্দিনের পুত্র এরফান আলী (৫৫) এবং স্কুল শিক্ষার্থী আমিন মিয়া। সে গজারিয়া গ্রামের মুর্শিদ মিয়া পুত্র।
প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন জানান, প্রতি সপ্তাহের বুধবার ভৈরব থানায় হাজিরা দিতে হয়। আজও বেলা সাড়ে ১১টা সময় থানার উদ্দেশ্যে গ্রামীণ এম্বুলেন্স নিয়ে রওনা হন গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে।
গজারিয়া প্রাইমারি স্কুল এলাকায় আসার পর চলতি গাড়ির সামনে দিয়ে ১২ বছর বয়সী এক স্কুল শিক্ষার্থী দৌড়ে রাস্তা পাড় হওয়া সময় গ্রামীণ এম্বুলেন্সের (ইজিবাইক) চালক চৌকিদার এরফান আলী শিশুটিকে বাঁচতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই শিশুসহ পার্শ্ববর্তী মাদ্রাসার একটি ভবনে ধাক্কা দেয়। এসময় চালক এরফান আলী আঘাত প্রাপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং স্কুল ছাত্র আমিন মিয়া গুরুতর আহত হয়।
পরে স্থানীয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক এরফান আলীকে মৃত ঘোষণা করেন এবং গুরুতর আহত অবস্থায় ওই স্কুল শিক্ষার্থীকে ঢাকা পাঠান। ঢাকা যাওয়ার পথে পথিমধ্যে শিশু শিক্ষার্থী আমিন মিয়া মারা যান বলে স্বজনরা জানিয়েছেন।
চৌকিদার এরফান আলী ও স্কুল ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম শাহরিয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নিহত চৌকিদারে জন্য শোক প্রকাশ করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
এদিকে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ গোলাম মোস্তফা বলেন, সড়ক দূর্ঘটনায় চৌকিদারে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। আহত শিশু শিক্ষার্থী মারা গেছে কিনা সেটার খবর পাইনি। এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থার কথা জানান তিনি।
ভৈরব উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজ জানান, করোনা কালীন সময় গ্রামের অসহায় মানুষকে হাসপাতালে আনা নেয়ার জন্য গ্রামীণ এম্বুলেন্স নামে একটি ইজিবাইক দেয়া হয়েছিল।
সেই ইজিবাইক নিয়ে ভৈরবে আসার পথে সড়ক দূর্ঘটনায় গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার এরফান আলীসহ একজন শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এবিষয়ে ডিসি স্যারকে অবগত করেছি। নিহতদের পরিবারকে আর্থিক অনুদান দেয়ার কথা জানান।