বগুড়ার শেরপুরে যাত্রীবাহী দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বাসের এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। তাদেরকে বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে। আজ শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) ভোররাতে উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের সেরুয়া বটতলা বাজার নামক স্থানে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
এদিকে, দুর্ঘটনা কবলিত বাস দুটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। সেইসঙ্গে মহাসড়কের মধ্যে আড়াআড়িভাবে উল্টে পড়ে থাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এসময় মহাসড়কের উভয়পাশে প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অসংখ্য যানবাহন আটকে থাকে। প্রায় দুই ঘণ্টা পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানান, গাইবান্ধা থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী সূর্য পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস মহাসড়কের সেরুয়া বটতলা বাজার নামক স্থানে পোঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা শ্যামলী পরিবহনের অপর আরেকটি যাত্রীবাহী বাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাস দুটির অধিকাংশ যাত্রী গুরুতর আহত হন। খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে আহতদের অবস্থার অবনতি ঘটলে তাৎক্ষণিক বগুড়ায় শজিমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। এর মধ্যে একজন মারা যান। বাকি আহতদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে হতাহতদের তাৎক্ষণিক নাম-পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
শেরপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা মো. নাদির হোসেন জানান, দুর্ঘটনায় আহত ১০ জনকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং গুরুতর আহত ২০ জনকে বগুড়ার শজিমেকে নিয়ে ভর্তি করে দেওয়া হয়েছে।
শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বানিউল আনাম জানান, দুর্ঘটনা কবলিত বাস দুটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক-হেলপার কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া মহাসড়কের মধ্যে পড়ে থাকা বাস দুটির কারণে সামান্য সময়ের জন্য যানজনটের সৃষ্টি হয়। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই বাসগুলো অপসারণ করার পর যান চলাচল শুরু হয়। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।