জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী মো. ফজলুল হক (৫৪) নামে একজন স্বাস্থ্য সহকারী নিহত হয়েছেন। একই মোটরসাইকেলের যাত্রী তার ছেলে শান্ত (২০) সামান্য আঘাত পেয়েছেন।
আজ শুক্রবার সকালে স্থানীয় হাইওয়ে থানার কাছেই মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ফজলুল হক বকশীগঞ্জ উপজেলার বাট্টাজোড় ইউনিয়নের চন্দ্রাবাজ গ্রামের মৃত আকরাম হোসেনের ছেলে ও বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আওতাধীন বাট্টাজোড় ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে স্বাস্থ্য সহকারী হিসাবে কর্মরত ছিলেন তিনি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, স্বাস্থ্য সহকারী ফজুলুল হক শুক্রবার সকালে তার ছেলে শান্তকে নিয়ে মোটরসাইকেলে নিজবাড়ি বাট্টাজোড় ইউনিয়নের চন্দ্রাবাজ থেকে বকশীগঞ্জ উপজেলা সদরে যাচ্ছিলেন। পথে বেলা ১১টার দিকে বকশীগঞ্জ-ধানুয়া কামালপুর সড়কে স্থানীয় হাইওয়ে থানার কাছেই ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সাথে তার মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংর্ঘষ হয়।
এতে পায়ে, বুকে ও মাথায় আঘাত পেয়ে ফজলুল হক গুরুতর আহত হন। তার ছেলে শান্ত হাতে সামান্য আঘাত পান। এ সময় স্থানীয়রা গুরুতর আহত ফজলুল হককে সেখান থেকে উদ্ধার করে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করলে অ্যাম্বুলেন্সে করে ময়মনসিংহে যাওয়ার পথে ফজলুল হক মারা যান।
বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আজিজুল হক বলেন, দুর্ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত স্বাস্থ্য সহকারী ফজলুল হককে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। অ্যাম্বুলেন্সে করে ময়মনসিংহে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান। দুর্ঘটনায় হাতে সামান্য আঘাত পাওয়া তার ছেলে শান্ত তার বাবার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করেছেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের হাইওয়ে থানার কাছেই মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার সাথে সংঘর্ষে গুরুতর আহত স্বাস্থ সহকারী ফজলুল হককে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহে নিয়ে যাওয়া পথে মারা যাওয়ার কথা শুনেছি। তবে তার পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।