টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে প্রেমিকের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী নুসরাত জাহান তোয়া (১৩)। মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) উপজেলার ধলাটেঙ্গর এলাকায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত নুসরাত জাহান নাসির উদ্দিন ও শায়লা বেগম দম্পতির বড় মেয়ে। তারা এলেঙ্গা শামসুল হক কলেজের সামনে একটি ভাড়া বাসায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন। তাদের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, স্কুল ড্রেস পরা একটি মেয়ে ও একটি ছেলে রিকশায় এসে ধলেটেঙ্গর এলাকায় রেললাইনে বসে থাকতে দেখা যায়। সকাল ৯টা ১০ মিনিটের দিকে উত্তরবঙ্গগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে মেয়েটি ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় ছেলেটি একটু নিচে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান। পরে মেয়েটিকে রেখে ছেলেটি দ্রুত পালিয়ে যায়।
নুসরাতের মোবাইল চেক করে দেখে যায়, সোহাগ আল হাসান জয় নামের একটি ছেলের সঙ্গে সকালে ফেসবুক মেসেঞ্জারে যোগাযোগ করে দেখা করার জন্য বের হন।
এলেঙ্গা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুল করিম জানিয়েছেন, নুসরাত জাহান তোয়া আমার স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। সকালে পুলিশ এবং সাংবাদিকদের মাধ্যমে খবর পাই সে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে। আজকে তার গণিত পরীক্ষা ছিল।
নুসরাতের মা শায়লা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানিয়েছেন, সকালে বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার কথা বলে একটু আগেই বের হয় নুসরাত। এ জন্য আমি আর আমার ছোট মেয়ে খানিকটা পথ এগিয়েও দিয়ে আসি। বান্ধবীর বাসা থেকে এলেঙ্গা উচ্চবিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার কথা। কিন্তু ও রেললাইনে কীভাবে গেল বুঝতে পারছি না।
ঘারিন্দা রেলওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ এএসআই আবদুস সবুর জানিয়েছেন, সকাল ৯টা ১০ মিনিটে নীল সাগর এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে নুসরাত জাহান তোয়া নামে এক ছাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।