ময়মনসিংহের ভালুকায় এনা পরিবহণের একটি বাসের চাপে তানজিয়া পরিবহণ নামে একটি বাস খাদে পড়ে ঘটনাস্থলেই বাসের হেলপার নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মেহরাবাড়ি জিঞ্জিরা পাগলা মাজারের কাছে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হেলপারের নাম পলাশ চন্দ্র দাস (৩০)। তিনি মুক্তাগাছা উপজেলার চক নারায়ণপূর গ্রামের কালীচন্দ্র দাসের ছেলে।
বাসযাত্রীরা জানান, তানজিয়া পরিবহণের বাসটি মুক্তাগাছার পিয়ারপুর থেকে ছেড়ে আসে। ময়মনসিংহ থেকে বাসটি খুব দ্রুতগতিতে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। রাস্তার মাঝে এনা পরিবহণের বাসের সঙ্গে তানজিয়া পরিবহণ নামে (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-০১০৪) বাসটি প্রতিযোগিতা করে আসছিল।
ভালুকা বাসস্ট্যান্ড পার হওয়ার পর আবারও বাস দুটি প্রতিযোগিতা শুরু করে।
ঢাকাগামী লেনের মেহরাবাড়ি জিঞ্জিরা পাগলার মাজার এলাকায় বাস দুটি পৌঁছলে এনা পরিবহণের বাসটি তানজিয়া পরিবহণের বাসটিকে চাপ দিলে বাসটি বেশ কয়েকটি ডিগবাজি খেয়ে রাস্তার পাশে ২০/৩০ ফুট নিচে খাদে পড়ে যায়। এতে বাসটির হেলপার বাসের নিচে পড়ে আটকে গিয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ সময় এনা বাসটি দ্রুত ঢাকার দিকে চলে যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। বাসের নিচ থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করার জন্য দুটি রেকার আনা হয়। দুটি রেকার দিয়ে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা চেষ্টা করে বাসটির নিচ থেকে নিহত হেলপারের লাশ উদ্ধার করে। এ সময় ঢাকাগামী লেনে মহাসড়কের দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
বাসযাত্রী মৌসুমি আক্তার জানান, আমরা ঢাকা পর্যন্ত যাওয়ার জন্য ৩০০ টাকা দিয়ে বাসে ওঠার পর বাসচালক এনা পরিবহণের অপর একটি বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে যাচ্ছিল। ভালুকায় আসার আগে এনা গাড়িটিকে আমাদের বাসের চালক চাপ দেন। ভালুকা পার হওয়ার পর এনা বাসটির চালক আমাদের বাসটিকে চাপ দিলে আমাদের বাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। বাসটি বেশ কয়েকটি চক্কর খেয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়।
ভালুকা ফায়ার স্টেশন ইনচার্জ আতিকুল ইসলাম জানান, দু বাসের মাঝে প্রতিযোগিতার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ঘটনাস্থলে একজন নিহত হয়েছেন এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
ভরাডোবা হাইওয়ে থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, বাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারানোর কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।