রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের তারাগঞ্জে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ৩ যাত্রী। তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার যমুনেশ্বরী নদীর বারাতি ব্রিজের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই সুরাইয়া আক্তার (১২) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়। আহতদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্মৃতি আক্তার (২০) ও অটোরিকশাচালক জাহাঙ্গীর আলমের (৪৪) মৃত্যু হয়।
নিহত সুরাইয়া আক্তার উপজেলার ইকরচালি সরকারপাড়া গ্রামের ভুট্টু মিয়ার মেয়ে। একই উপজেলার দোলাপাড়ায় স্মৃতি আক্তার এবং জগদীশপুর উত্তরপাড়ায় জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ি।
স্থানীয় জয়নাল আবেদীন ও শামীম মিয়া জানান, উপজেলার ইকরচালি থেকে একটি অটোরিকশা ৬-৭ যাত্রী নিয়ে তারাগঞ্জ বাজারের দিকে যাচ্ছিল। চট্টগ্রাম থেকে নীলফামারীর সৈয়দপুরগামী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে এক শিশুর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আহতদের অবস্থার অবনতি ঘটলে তাদের রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
তারাগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব মোর্শেদ জানান, যমুনেশ্বরী নদীর ব্রিজের ওপর যাত্রীবাহী শ্যামলী পরিবহন পেছন থেকে ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বাসটিকে জব্দ করা গেলেও চালক ও তার সহযোগী পালিয়ে গেছেন। বাস মালিক ও চালক-হেলপারের বিরুদ্ধে মামলার করা হবে।