ঢাকার ধামরাই উপজেলায় পৃথক দুই নৌকাডুবিতে দাদা-নাতনিসহ চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নৌকা দুটি ঝড়ের কবলে পরে ডুবে যায়। এ ঘটনায় এখনো এক স্কুলছাত্রী নিঁখোজ আছে। আজ মঙ্গলবার উপজেলার সুয়াপুর ইউনিয়নের রৌহারটেক ও ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের মালঞ্চ এলাকায় নৌকাডুবির এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, আজ দুপুরে উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের মালঞ্চ এলাকায় নৌকা ডুবে মালঞ্চ গ্রামের হাকিম আলী (৭০) ও তার নাতনি মুন্নীর (১১) মৃত্যু হয়। এলাকাবাসী জানায়, দুপুরে জুলহাস আলীর অসুস্থ স্ত্রীকে চিকিৎসা করিয়ে নৌকাযোগে বাসায় ফিরছিলেন হাকিম আলী। এ সময় নৌকাটি ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়। এতে হাকিম আলী, তার স্ত্রী ও নাতনি মুন্নী পানিতে ডুবে যান। পরে হাকিম আলী ও তার নাতনির মরদেহ উদ্ধার করা হলেও পুত্রবধূকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বদির উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চত করে বলেন, তাদের মরদেহ উদ্ধার করে দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এর আগে দুপুরে ধামরাই উপজেলার সুয়াপুর ইউনিয়নের রৌহারটেক এলাকায় ঝড়ের কবলে পড়ে নৌকা ডুবে দুই কলেজশিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় একজন প্রাণে বেঁচে গেলেও নিখোঁজ রয়েছে এক স্কুলছাত্রী।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার সুয়াপুর ইউনিয়নের রৌহারটেক গ্রামের হিরা ফকিরের বাড়িতে নেত্রকোনা থেকে বোন-ভাগনি ঈদের পরেরদিন বেড়াতে আসে। মঙ্গলবার দুপুরে নৌকায় করে বেড়াতে যায় চারজন। এ সময় বাতাসের কারণে নৌকা ডুবে যায়। এতে হিরা ফকিরের ভাগনি কলেজশিক্ষার্থী আফিয়া আক্তার ও শারমিন আক্তার পানিতে ডুবে মারা যায়। তবে সাঁতার জানায় কাজলি বেগম (৩০) প্রাণে বেঁচে গেলেও দশম শ্রেণির ছাত্রী পন্থি আক্তার নিখোঁজ হয়। সুয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোরহাব হোসেন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চত করেছেন।
ধামরাই ফায়ার সার্ভিস অফিসের ওয়্যারহাউস কর্মকর্তা মো. আলম হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই নৌকা ডুবে মারা যাওয়া চারজনের মরদেহ উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে স্থানীয়রা। তবে নিখোঁজ একজনকে উদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে আমাদের ডুবুরি দলের সদস্যরা।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন