ড্রাইভিং শিখতে গিয়ে প্রাণ গেল ফারজানা আক্তার মুক্তি (২১) নামে এক কলেজছাত্রীর। আজ শনিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার চৌদ্দশত বাজারের কাছে কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক সড়কে দুর্ঘটনায় তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
জানা যায়, তিনি গাড়ি চালানো শেখার জন্য একটি সাদা রঙের প্রাইভেট কার চালাচ্ছিলেন। এ সময় কিশোরগঞ্জগামী একটি বাস তার গাড়িকে চাপা দেয়।
বাসের ধাক্কায় গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে রাস্তা থেকে নিচে গিয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলেই মারা যান ওই কলেজছাত্রী। গাড়িতে থাকা আরো তিনজন গুরুতর আহত হন। তবে তাদের নাম ও পরিচয় জানা যায়নি। স্থানীয়রা গাড়িতে থাকা আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
নিহত ফারাজানা আক্তার মুক্তি জেলা সদরের গাইটাল শ্রীধরখিলা গ্রামের মো. সালাউদ্দিনের মেয়ে। তিনি স্থানীয় ওয়ালীনেওয়াজ খান কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
দুপুরের দিকে দুর্ঘটনা ঘটলেও থানা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ কেউ হতাহতের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারছিল না। সন্ধ্যার দিকে কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ নিহতের পরিচয় নিশ্চিত করে জানান, দুপুরের দিকে কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক সড়কে বিন্নাটী এলাকায় সোনার বাংলা ফিলিং স্টেশন থেকে ৫০০ গজ দূরে দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রাইভেট কারটি বত্রিশ বাইপাস সড়ক থেকে মূল সড়কে উঠতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এ সময় কিশোরগঞ্জগামী বিআরটিসির একটি বাস গাড়িটিকে চাপা দেয়। এলাকাবাসী বাসটিকে আটক করলেও এর চালক পালিয়ে গেছে বলে তিনি জানান। পরে হাইওয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান সদর মডেল থানার ওসি।
Wish you success of life.