শিল্পী খাতুন পাবনা সদর উপজেলার বড়দিকশাইল গ্রামের জনি প্রামাণিকের স্ত্রী। তিনি নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার গোসাইপুর গ্রামের আব্দুর রশিদ দেওয়ানের মেয়ে।
ফরিদপুর গ্রামের বাসিন্দা আমজাদ হোসেন বলেন, এক নারীর মরদেহ রেললাইনের পাশে পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। ওই নারী শরীরে ট্রেনের আঘাত রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ট্রেনের ধাক্কায় তার মুখমণ্ডল বিকৃত হয়ে গেছে।
নিহতের চাচাতো ভাই টিটু দেওয়ান বলেন, শনিবার রাতে শিল্পী খাতুনের স্ত্রী জনি প্রামাণিক মোবাইল ফোনে আমাদের বাড়িতে জানান শিল্পীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সকাল ৭টার দিকে শুনতে পাই তার মরদেহ রেল লাইনের পাশে পড়ে আছে। পরে জানতে পেরেছি শিল্পীকে তার স্বামী মারধর করেছে। সেজন্য রাগে-ক্ষোভে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেছে। আমাদের মনে হচ্ছে স্বামীর ওপর অভিমান করে সে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
সিরাজগঞ্জ রেলওয়ে থানার (উপ-পরিদর্শক) এস আই আব্দুল মতিন জানান, শিল্পী খাতুন রাতের যে কোনো সময় ঢাকা-ঈশ্বরদী ট্রেনে চলাচলকারী ট্রেনে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ট্রেনের ধাক্কায় সে লাইনের পাশে পড়ে যায়। শিল্পীর মরদেহ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ রেলওয়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানে গিয়ে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।