ঈদের ছুটিতে নীলফামারীতে পৃথক পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ছয়জন নিহত হয়েছেন। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) এ বি এম আতিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঈদের দিন হতে পরবর্তী চারদিনে পৃথক চারটি সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিনজনসহ মোট ছয়জন নিহত হয়েছেন।
ঈদের দিন শনিবার বিকালে আত্মীয়ের বাড়িতে মোটরসাইকেল চালিয়ে কোরবানির মাংস দিতে যাবার সময় সৈয়দপুর উপজেলার বানিয়াপাড়া আজিজিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী কাম দফতরি মিজানুর রহমান (৩২) সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। উপজেলার পার্বতীপুর সড়কের চৌমহনীতে দুটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মিজানুর গুরুতর আহত হলে তাকে রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। পরের দিন রোববার সকালে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে ঈদের পরেরদিন রোববার সন্ধ্যায় দাওয়াত খেতে যাওয়ার পথে কিশোরীগঞ্জ উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সামনে কাচারীপাড়া নামক স্থানে কুমিল্লাগামী একটি রাত্রীকালিন যাত্রীবাহী কোচের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী একই পরিবারের তিনজন নিহত হন। দুর্ঘটনায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান মোটরসাইকেল চালক লিটন মিয়া (৩০)। নিহতরা হলেন- লিটন মিয়ার স্ত্রী রুমা (২৪), তাদের আট মাসের শিশুসন্তান রাহিম ও লিটনের শ্যালিকা আদুরী (১৭)।
পুলিশ যাত্রীবাহী কোচ উল্লাস পরিবহন (চট্টগ্রাম ক-১১-০২৬১) আটক করলেও চালক-হেলপার পালিয়ে যান। আহত লিটন মিয়াকে স্থানীয় উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। লিটন মিয়া রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার দক্ষিণ গজোঘন্টা এলাকার মোখলেছার রহমানের ছেলে।
অপরদিকে সোমবার বিকালে জেলা সদরের লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের দুবাছরী সরকার পাড়া নামক স্থানে শ্যালো মেশিনে চালিত ভটভটি গাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেলচালক জাহাঙ্গীর আলম (৬০) নিহত হন। তিনি ওই ইউনিয়নের আকাশকুড়ি গ্রামের মৃত হাছিম উদ্দীনের ছেলে। এ ঘটনায় আহত ভটভটির যাত্রী শমসের আলীকে (৫৫) আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার সময় মঙ্গলবার সকাল ১১টায় রাস্তা পার হতে গিয়ে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় নিহত হন আকতারা বেগম (৩০) নামের এক নারী। ঘটনাটি ঘটে জলঢাকা-ডালিয়া সড়কের ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের কাকড়া বটেরতল নামক স্থানে। মাইক্রোবাসটি পালিয়ে যায়। নিহত আকতারা বেগম জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা গ্রামের আজিজুল ইসলামের মেয়ে। চার বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর তিনি বাবার বাড়িতে থাকতেন।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন