ঈদের ছুটিতে অনেকে যখন পরিবার-পরিজনদের নিয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করছিল তখনও কর্মস্থলে দায়িত্ব পালন করেছিলেন আনসার কমান্ডার জাহাঙ্গীর আলম (৫০)। স্বজনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে আজ শনিবার সকালে মালামাল নিয়ে মোটরসাইকেলে বাড়িরে উদ্দেশ্যে রওনা দেয় তিনি।
কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনায় বাড়ি ফেরা হলো না তার। সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে পটুয়াখালী-বরিশাল মহাসড়কের বদরপুর কালভাটের কাছে বাসচাপায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি।
নিহত আনসার কমান্ডার জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ি ভোলা জেলার সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামে। নিহতের স্ত্রী, দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। তিনি রাজাপুর গ্রামের বেলায়েত হোসেনের ছেলে।
নিহতের সহকর্মী আনসার সদস্য মো. সোলাইমান জানান, জাহাঙ্গীর আলম কলাপাড়ার তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে মোতায়েনকৃত ৬০ আনসার সদস্য’র কমান্ডার ছিলেন।
ঈদের সময় তিনি কর্মস্থলে দায়িত্ব পালন করেছেন। ঈদের পর ছুটি নিয়ে আজ শনিবার ভোর ৫টার দিকে রেশনের মালামালসহ নিজের মোটরসাইকেলে নিজ বাড়ি ভোলার উদ্দেশ্যে রওনা হন। কিন্তু পরে খবর পাই পটুয়াখালীর মহাসড়কে বাসচাপায় তিনি নিহত হয়েছেন। বিষয়টি পরিবারকে জানানো হয়েছে। স্বজনরা পটুয়াখালীতে আসছেন।
তিনি আরো জানান, তাদের কমান্ডার জাহাঙ্গীর আলম তার রেশনের মালামাল জমা করেছেন। এছাড়াও ঈদের কিছু মার্কেটও করেছেন। তিনি বলেছিলেন, ঈদের পর ছুটি নিয়ে বাড়িতে গিয়ে স্বজনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন। স্বজনরাও তার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনায় তাদের ঈদের আনন্দ ম্লান হয়ে গেল।
সদর থানার উপ-পরিদর্শক মাহবুব আলম জানান, ভোর সাড়ে ৬টার দিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ত্ৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠাই। ঘটনাস্থলে আনসার কমান্ডার জাহাঙ্গীর আলমের মরদেহ এক পাশে এবং অপর পাশে তার মোটরসাইকেলটি পড়ে ছিল। রেশনের মালামাল ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। সুরাতল রিপোর্টে তার বুকের উপর দিয়ে বাসের চাকা চলে যাওয়ার আলামত পাওয়া গেছে। তবে ঘাতক বাসটি এখনও শনাক্ত করা যায়নি।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, মহাসড়কের বদরপুরে মিজানের মিষ্টির দোকানের দক্ষিণ পাশে কালভার্টের সামনে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘাতক বাসটি শনাক্তের চেষ্টা ও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।