বগুড়ার আদমদীঘিতে চাঞ্চল্যকর কলেজছাত্রী শিরিন আকতার হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ড হওয়ার পর জামিনে থাকা সেনগুপ্ত ঘোষ (৩৪) সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সেনগুপ্ত ঘোষ বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার কুসুম্বী গ্রামের সন্তোষ ঘোষের ছেলে। গত ২০১২ সালের ১৩ ডিসেম্বর উপজেলার মুরইল ডুমুরী গ্রামের আজিজার রহমানের মেয়ে কলেজছাত্রী শিরিন আকতারকে পায়ের রগ কেটে হত্যা করা হয়। এ মামলায় সেনগুপ্ত ঘোষ ২ নম্বর আসামি ছিলেন।
২০১৬ সালে রাজশাহীর বিশেষ দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল প্রধান আসামি সোহেল ইবনে করিমকে ফাঁসি ও সেনগুপ্ত ঘোষকে যাবজ্জীবন দণ্ড দেন। করিম আত্মগোপন করেন এবং সেনগুপ্ত উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছাড়া পান।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে তিনি মোটরসাইকেলে সান্তাহার থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। বগুড়া-সান্তাহার সড়কের কাছে ডালম্বা এলাকায় পৌঁছলে হঠাৎ তার মোটরসাইকেলের চাকা ফেটে যায়। এতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা লাগে।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথম আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। ঢাকায় নেওয়ার সময় পথিমধ্যেই তিনি মারা যান।
আদমদীঘি থানা পুলিশ জানায়, সড়ক দুর্ঘটনায় সেনগুপ্ত ঘোষ মারা গেছেন। তবে তিনি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজা পাওয়ার পর জামিনে ছাড়া পাওয়া আসামি কিনা তা জানেন না।
আদমদীঘি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান জানান, শুক্রবার নিজ গ্রামে সেনগুপ্ত ঘোষের সৎকার অনুষ্ঠিত হয়েছে।