আরিফুল ইসলাম সাব্বির, (ধামরাই ঢাকা): ঢাকার ধামরাইয়ে গাড়িচাপায় মাসহ দুই ছেলে নিহতের ঘটনায় গাড়িটি (ঢাকা মেট্রো- চ ১৯-০২৭৭) সনাক্ত ও চালককে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এ ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছে নিহতের পরিবার ও স্থানীয় নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) আন্দোলনের কর্মীরা।
পুলিশ বলছে, ‘গাড়িটি ধরতে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। দ্রুত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
১১ মার্চ রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার ঢুলিভিটা-ধামরাই বাজার সড়কের মমতাজ মেডিকেলের সামনে প্রাইভেটকার ও যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে সংঘর্ষে মা ও দুই ছেলেসহ একই পরিবারের ৩ জন নিহত হন। নিহতরা হলেন, ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের ভাড়ারিয়া এলাকার নাসির উদ্দীন খানের স্ত্রী পিয়ারা বেগম (৪৫) ও দুই ছেলে নাসিব খান (২০), ছোটন খান (১৮)।
ঘটনাস্থলের পাওয়া ছবিতে দেখা যায় গাড়িটি (ঢাকা মেট্রো- চ ১৯-০২৭৭) নম্বরে রেজিষ্ট্রেশন করা। তবে ওই গাড়িটির মালিকের পরিচয় জানায়নি পুলিশ।
এ ঘটনায় গতকাল (১২ মার্চ) রাতে বাবা নাসির উদ্দীন খান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে ওই দুর্ঘটনার পরেই রাতেই ঘটনাস্থল থেকে ঘাতক গাড়িটি সরিয়ে ফেলা হয়। এছাড়া উধাও হয়ে যান চালকও। ঘটনার তিনদিন পেরিয়ে গেলেও এখনো সে বিষয়ে কোন আইনী ব্যবস্থা নিতে পারেনি পুলিশ।
নিহত ছোটনের ভাই হৃদয় বলেন, ‘ওইদিন মামার বাড়ি থেকে ফিরছিলো তারা। সিএনজিটি মমতাজ মেডিকেলের সামনে আসলে ওই গাড়িটি তাদেরকে ধাক্কা দেয়। পরে সবাইকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে একে একে তিনজনই মারা যান। এখনো ঘাতক গাড়ি বা গাড়ির চালককে শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। তারা গতকাল এসেছিলো। বলেছে চেষ্টা করছে। যেকোন মূল্যে গাড়ি সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। আমরা ঘাতক চালককে দ্রুত আটক করে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) ধামরাই উপজেলা কমিটির সভাপতি নাহিদ মিয়া বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার সঙ্গে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হলো দুর্ঘটনায় কবলিতদের উদ্ধার, চিকিৎসার সু ব্যবস্থার বিষয়টি। কিন্তু পুলিশ কেস মনে করে অনেকে এগিয়ে আসতে চায় না। পুলিশ দ্রুত না পৌঁছালে দুর্ঘটনায় কবলিত ব্যক্তিদের মালামাল অনেকে হাতিয়ে নেয়। আবার দোষীরাও পালানোর সুযোগ পায়। এই ঘটনায় তেমনই হয়েছে। এ পর্যন্ত গাড়ি ও চালক কিছুই আটক হয়নি। সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশের তৎপরতা বৃদ্ধি আশা করছি।
ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মফিজুর রহমান বলেন, ‘ গতকাল ওই ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। তবে এখনো ঘাতককে সনাক্ত করা যায়নি। চেষ্টায় আছি।