বাড্ডার বেরাইদে দুই বছরের শিশু নাভহান হোসেন তার নানার পাশে ছোটাছুটি করছিল। সেখানে থাকা একটি ভ্যানের সঙ্গে মাথায় ধাক্কা লাগে নাভহানের। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বুধবার মারা যায় শিশুটি।
পারিবারিক সূত্র জানায়, নাভহান হোসেন ওরফে রাইয়ান নানা জিল্লুর রহমানের বেরাইদের বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকত। পারিবারিক কলহে তার বাবা ইমরান হোসেন অন্য জায়গায় থাকেন।
হাসপাতালে শিশু নাভহান হোসেনের নানা জিল্লুর রহমান আজ বলেন, তিনি গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার নাতি নাভহানকে কোলে নিয়ে বেরাইদ পূর্বপাড়া জামে মসজিদের পাশে যান। সেখানে তিনি নাভহানকে কোল থেকে নামিয়ে খেলা করতে দেন। নাভহান ছোটাছুটি করছিল। এ সময় পাশে থাকা একটি ভ্যানের সঙ্গে ধাক্কায় শিশুটির মাথা ও বুকে আঘাত লাগে।
অচেতন অবস্থায় তাকে প্রথমে বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে গতকাল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে সেখানে শিশুটির মৃত্যু হয়। এ সময় নাভহানার মা নূরজাহানসহ স্বজনেরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
খবর পেয়ে আজ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান নাভহানের বাবা ইমরান হোসেন। তিনি একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা। ইমরান হোসেন অভিযোগ করেন, ছেলে আহত হওয়া বা মৃত্যুর খবর তাঁকে জানানো হয়নি।
লোকমারফত খবর পেয়ে তিনি হাসপাতালে এলে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাকে মারধর করেন। শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই নাভহানকে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ তাঁর।
বাড্ডা থানার এসআই মো. বশির বলেন, নাভহানের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন