করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় রাজশাহীতে বিধিনিষেধ আরও বাড়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ জুন) থেকে রাজশাহী জেলার শপিংমলসহ অন্যান্য দোকানপাট বন্ধ থাকবে। তবে দোকান থেকে অনলাইনে পণ্য বিক্রি করা যাবে। কোনো ক্রেতা দোকানে যেতে পারবেন না।
বুধবার (২ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল সাংবাদিকদের বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (৩ জুন) সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ আরোপ থাকবে। রাজশাহীতে নতুন করে ১০টি বিধিনিষেধের কথা বলা হয়েছে।
কাঁচাবাজার ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনা-বেচা করা যাবে। অতি জরুরি প্রয়োজন ব্যতিত কোনভাবেই বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না। তবে টিকা কার্ড প্রদর্শন সাপেক্ষে টিকাকেন্দ্রে যাওয়া যাবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও জরুরি পরিসেবা, বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ অন্যান্য জরুরি পণ্য ও সেবার সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।
জুমার নামাজসহ ওয়াক্তের নামাজে সর্বোচ্চ ২০ জন মুসল্লি অংশ নিতে পারবেন। অন্যান্য উপসানালয়েও সমানসংখ্যক মানুষ অংশ নিতে পারবেন। আমের আড়ৎ বা বাজার আলাদা আলাদা জায়গায় ছড়িয়ে আড়ৎদারদের মাধ্যমে বিক্রি করা যাবে। বাগান থেকে আম ট্রাকে করে পাঠানো যাবে। এ ছাড়া কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আম পরিবহন চালু থাকবে।
এ কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁয় আলাদা করে বিশেষ লকডাউন দেওয়া হয়েছে। রাজশাহীতেও এখন করোনার সংক্রমণ বেশি। রাজশাহীর করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার (২ জুন) সকালে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কোর কমিটির সভায় আলোচনা হয়। পরে বিকেলে জেলা প্রশাসক রাজশাহীতে আরও কিছু বিধিনিষেধ বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানান।
দেশে এখন করোনা সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের কাছাকাছি। সেখানে সীমান্তবর্তী সাতক্ষীরা, খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও নওগাঁ জেলায় সংক্রমণের হার অনেক বেশি। চাঁপাইনবাবগঞ্জে সংক্রমণের হার ৫৫ শতাংশের মতো হওয়ায় সেখানে গত সপ্তাহে কঠোর বিধিনিষেধ দেওয়া হয়। কঠোর বিধিনিধেষ দেওয়া হয়েছে নওগাঁ জেলাও। এ সব জেলায় বিধিনিষেধ কঠোর জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় সুপারিশ করে। আর মন্ত্রিসভার বৈঠকে স্থানীয় প্রশাসনকে লকডাউনের ঘোষণার ক্ষমতা দেওয়া হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা মোতাবেক, কোনো দেশে যদি সংক্রমণের হার তিন সপ্তাহ ৫ শতাংশের নিচে থাকে, তবে সেখানে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা হবে।