করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত ৭ দিনের কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে বগুড়ায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, বার্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও পুলিশ সদস্যরা মাঠে নেমেছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে বৃষ্টির মধ্যে তাদের শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে টহল দিতে দেখা গেছে।
সর্বাত্মক লকডাউনের প্রথম দিন সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক এবং পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শহরের জিরো পয়েন্টে অবস্থান নেন। তারা প্রায় ৩০ মিনিট অবস্থানকালে লকডাউন কার্যকরের পদ্ধতি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।
জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক জানান, বগুড়া শহরে সেনাবাহিনী, বিজিবিসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে লকডাউন কার্যকর করার জন্য ৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর দুইটি পেট্রোল টিম ও বিজিবির দুই প্লাটুন সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া র্যা ব বগুড়া ক্যাম্পের উপ-সহকারি পরিচালক (ডিএডি) জাহিদুল ইসলাম জানান, তাদের দুইটি টহল টিম মাঠে সক্রিয় রয়েছে।
কর্তব্যরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাসিম রেজা জানান, তারা সকাল থেকেই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে বলে এমনিতেই শহরে মানুষের সংখ্যা খুবই কম। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হচ্ছেন এমন কাউকে পাওয়া যায়নি। তাই আইন লঙ্ঘনের দায়ে কারো বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ জানান, লকডাউনের প্রথম দিন জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোন মানুষকে বের হতে দেখা যায়নি। তিনি বলেন, ‘আজকের লকডাউন সম্পর্কে গত কয়েকদিন ধরেই আমরা জনগণকে অবহিত করে আসছিলাম। তারপরেও লকডাউন কার্যকর করতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।’
বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক সর্বাত্মক লকডাউন কার্যকর করতে বগুড়াবাসীর সহযোগিতা কামনা করে বলেন, ‘জীবন বাঁচার জন্যই এই লকডাউন। এটা আমাদের সবাইকে মানতে হবে। এজন্য সব শ্রেণি- পেশার মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন। সবার সহযোগিতা পেলে আমরা করোনাভাইরাসকে পরাজিত করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবো।’