রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা (২৯ নম্বর) ওয়ার্ডে রোগীর বেডে সিলিং ফ্যান খুলে পড়েছে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি, সংশ্লিষ্ট বেডের রোগী ও তার স্বজনরা অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান।
গত সোমবার (৭ জুন) সকালে হাসপাতালের ওই ফ্যানটি খুলে পড়ে। ওইদিন ঘটনাটি প্রকাশ না পেলেও মঙ্গলবার (৮ জুন) ওই ওয়ার্ডের একজন রোগীর স্বজন নাম-পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে ছবি সরবরাহ করে ঘটনাটি স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান।
আরেক রোগীর স্বজন জামশেদ অভিযোগে বলেন, তার বাবাকে নিয়ে তিনদিন ধরে হাসপাতালে আছেন। হাসপাতালে মানুষ যখন বাঁচার জন্য আসেন, তখন তাদের গায়ের ওপর ফ্যান খুলে পড়েছে। তিনি আরও জানান, ওই ওয়ার্ডের ৮-৯টি ফ্যান নষ্ট, লাইট জ্বলে না। পর্যাপ্ত আলো না থাকায় রাতের বেলা অনেকটা অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকে। টয়লেটগুলো নোংরা ও স্যাঁতস্যাঁতে। তীব্র দুর্গন্ধে ভেতরে প্রবেশ করা যায় না। টয়লেটের দরজায় ছিটকিনিও নেই। এসব বিষয়ে অভিযোগ করলেও কারও ভ্রুক্ষেপ নেই। উপরন্তু জীবন বাঁচতে গিয়ে সেখানে মাথার ওপর থেকে ফ্যান ভেঙে পড়ায় নতুন করে জীবনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে করোনা রোগীদের মধ্যে।
অন্যান্য রোগী ও তাদের স্বজনরা বলছেন, একদিকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীরা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন, তার ওপর হাসপাতালের ফ্যান খুলে পড়ছে। রোগীরা অল্পের জন্য বড় অঘটনের হাত থেকে বেঁচে গেছেন। এ ঘটনায় পুরো ওয়ার্ডের অসুস্থ রোগী ও তাদের স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেক দিন থেকে সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে বলেও অভিযোগ করছেন রোগীর স্বজনদের।
এ বিষয়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। সাংবাদিকদের কাছেই প্রথম জেনেছি ফ্যান খুলে রোগীর বেডে পড়ার কথা। দ্রুত ওই ওয়ার্ডের সকল সমস্যা সমাধান করা হবে বলেও জানান তিনি।